Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

গোল না খেয়েই নবম কোপা জয়ের লক্ষ্য কাসেমিরোদের

এ বারের কোপায় একটাও গোল হজম করেনি ব্রাজিল। আর যে পেরুর বিরুদ্ধে তারা ফাইনাল খেলবে, তাদের কাসেমিরোরা গ্রুপ লিগে হারিয়েছিল ৫-০ গোলে। ফাইনালেও কি বড় ব্যবধানে জয়ের কথাই ভাবছেন?

ফুরফুরে: মহড়ায় হাসিখুশি ব্রাজিলের ফুটবলারেরা। শনিবার। এএফপি

ফুরফুরে: মহড়ায় হাসিখুশি ব্রাজিলের ফুটবলারেরা। শনিবার। এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৪
Share: Save:

দুর্ভেদ্য রক্ষণ। এ বারের কোপায় ব্রাজিলের যা আসল শক্তি। রবিবার রিও দে জেনেইরোয় পেরুর বিরুদ্ধে কোপা ফাইনালেও গোল না খাওয়ার প্রতিজ্ঞার কথাই জানালেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার কাসেমিরো।

এ বারের কোপায় একটাও গোল হজম করেনি ব্রাজিল। আর যে পেরুর বিরুদ্ধে তারা ফাইনাল খেলবে, তাদের কাসেমিরোরা গ্রুপ লিগে হারিয়েছিল ৫-০ গোলে। ফাইনালেও কি বড় ব্যবধানে জয়ের কথাই ভাবছেন? কাসেমিরোর জবাব, ‘‘বারবার ৫-০ জেতা যায় না। আমাদের সমর্থকদেরও সেটা মনে রাখতে হবে। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য একটাও গোল না খেয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করা।’’

এখনও গোল না খাওয়ার কৃতিত্ব রিয়াল মাদ্রিদের তারকা কাসেমিরো একা ডিফেন্ডারদের দিচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘যদি মনে করা হয়, শুধু ডিফেন্ডারদের কৃতিত্বেই আমাদের বিরুদ্ধে কেউ গোল করতে পারেনি তা হলে কিন্তু ভুল ভাবা হবে। অবশ্যই ওদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। কিন্তু এ ব্যাপারে আক্রমণের ফুটবলারদের অবদানও কোনও অংশে কম নয়।’’

কাসেমিরো বলেছেন, ‘‘এখনও গোল খাইনি বলে ফাইনালেও হাসতে হাসতে উতরে যাব ভাবলে মারাত্মক ভুল করা হবে। তাই প্রথম থেকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’’ ব্রাজিল মনে করছে, রবিবারের ফাইনালে তাদের সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ পেরুর ফরোয়ার্ড পাওলো গুয়েরো। যিনি অতীতে বহু বার অনেক হিসেব উল্টে দিয়ে চমকে দিয়েছেন। এই গুয়েরো ব্রাজিলে খুবই পরিচিত নাম। কারণ তিনি বেশ কয়েক মরসুম ব্রাজিলের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। এখন অবশ্য তাঁর বয়স ৩৫। তবু ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, গুয়েরোর তীক্ষ্ণতা একটুও কমেনি। তাঁর ফুটবল-বুদ্ধিও চিরকাল প্রশংসিত হয়ে এসেছে।

২০১২-তে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ব্রাজিলের ক্লাব করিন্থিয়ান্সের হয়ে চেলসির বিরুদ্ধে গোলও আছে গুয়েরোর। ব্রাজিলের সেন্টারব্যাক মারকুইনহো তো পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‘পাওলোকে আলাদা নজরদারিতে রাখতেই হবে। কে না জানে, অতীতে ও অনেক অঘটন ঘটিয়েছে। তা ছাড়া করিন্থিয়ান্সে আমি ওর সঙ্গে খেলেছি। আর জাতীয় দলের হয়ে বহু বার ওর বিরুদ্ধে নেমেছি। আমি পাওলোর ক্ষমতা সম্পর্কে তাই খুব ভাল করেই ওয়াকিবহাল।’’

১৯৯৭ থেকে ২০০৭। পাঁচ বারে চার বারই ব্রাজিল এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেখানে কোপাতে পেরুর রেকর্ড দারুণ কিছু নয়। টুর্নামেন্টের ১০৩ বছরের ইতিহাসে মাত্র দু’বারের চ্যাম্পিয়ন পেরু। তাদের ফরোয়ার্ড রাউল রুদিয়াজ় যা নিয়ে বলেছেন, ‘‘অতীতে কী হয়েছে ভেবে লাভ নেই। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy