পদক নিয়ে তেজস্বীন ছবি পিটিআই
কমনওয়েলথ গেমসের দলে জায়গা পাওয়ার জন্যে যেতে হয়েছিল আদালতে। অনুমতি পাওয়ার পর শেষ মুহূর্তে দলে জায়গা মেলে। সেই তেজস্বীন শঙ্কর ব্রোঞ্জ জিতে নজির গড়ে ফেললেন। এর আগে কমনওয়েলথে হাই জাম্পে ভারতের কেউ কোনও দিন পদক জেতেননি। প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসাবে সেই কাজ করে দেখালেন তেজস্বীন।
জাতীয় রেকর্ডধারী এই ক্রীড়াবিদ ২.২২ মিটার লাফিয়েছেন। পরের দিকে ২.২৫ মিটার এবং ২.২৮ মিটার লাফানোর প্রয়াস নিলেও সফল হননি। অথচ আগের বার গোল্ড কোস্টের কমনওয়েলথে ২.২৪ মিটার লাফিয়েও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছিলেন তেজস্বীন। তাঁর নিজের সেরা অবশ্য ২.২৯ মিটার, যেটা লাফাতে পারলে সোনা নিশ্চিত ছিল।
এডিনবরায় ১৯৭০-এর গেমসে হাই জাম্পে ভীম সিংহের ২.০৬ মিটারই এত দিন ভারতীয়দের মধ্যে সেরা ছিল। তা ভেঙে দিলেন তেজস্বীন। বলেছেন, “আমেরিকায় অনেক দিন ধরে কলেজিয়েট মরসুমে খেলে চলেছি। জানুয়ারি থেকে নাগাড়ে অনুশীলন শুরু করি। তবে ব্রোঞ্জ পাওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো। পদক নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব, এটা ভেবেই আনন্দ হচ্ছে।”
ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থার যোগ্যতামান পেরোনো সত্ত্বেও তেজস্বীনকে কমনওয়েলথের দলে নেওয়া হয়নি। কারণ তিনি আন্তঃরাজ্য ট্রায়ালে অংশ নেননি। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেন। আমেরিকায় থাকার ফলে রাতের পর রাত জেগে শুনানিতে হাজির থাকতে হত তাঁকে। অবশেষে ২২ জুলাই তাঁকে কমনওয়েলথের দলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আয়োজকদের তরফেও শেষ মুহূর্তে তাঁর নাম ঢোকানোর অনুমতি মেলে।
নিউজিল্যান্ডের হামিশ কের এবং অস্ট্রেলিয়ার ব্রেন্ডন স্টার্ক যথাক্রমে সোনা এবং রুপো পেয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে পোডিয়ামে দাঁড়াতে পেরে উত্তেজনায় ফুটছেন তেজস্বীন। তাঁর কথায়, “ওদের সব সময় টিভিতে দেখি। অনুকরণ করার চেষ্টা করি। এখন ওদের পাশে পোডিয়ামে দাঁড়াতে পারার অনুভূতি অসাধারণ। আমার মুকুটে প্রথম পালক। আশা করি আরও অনেক পালক যোগ করতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy