• ফাইনালের আগে এটিকে ড্রেসিংরুম
সবাই যে খুব চাপে রয়েছে তা নয়। তবে যে কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের আগে সবারই চাপা টেনশন থাকেই। আমারও আছে। পেশাদার ফুটবলাররা সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলেই সাফল্য পায়। কোচির মাঠে ফাইনাল। ওরা হোম গ্রাউন্ডের সুবিধে পাবে। তবে আমরা লিগে এখানে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়েছি। ফাইনালে মাঠে নামার সময় ওরা নিশ্চয়ই সেটা মনে রাখবে। আমরাও।
• কেরল ব্লাস্টার্স কেমন প্রতিপক্ষ
যে টিমটা একটা সময়ে লিগ টেবলের শেষে ছিল, সেই কেরল-ই কী অসাধারণ ভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে! লিগে দু’নম্বরে শেষ করেছে ওরা। হটফেভারিট দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। এটা বড় ব্যাপার। ওদের মধ্যে লড়াকু মানসিকতা আছে। সবচেয়ে বড় কথা কেরল টিমটার বোঝাপড়া দারুণ। আমাদের মতোই টিমগেম খেলে। এক-দু’জন তারকার উপর নির্ভরশীল নয়। তবে আমরা আক্রমণের ঢেউ তুললে ওরা ভেঙে পড়বে।
• মলিনার স্ট্র্যাটেজি
আমাদের কোচ যে স্ট্র্যাটেজিতেই খেলান না কেন, আমরা একটা ব্যাপারই মাথায় রাখছি— জিততে হবে। সবাই জানেন কোচ ৪-২-৩-১ স্ট্র্যাটেজিতেই টিম সাজাচ্ছেন আমাদের গোটা টুর্নামেন্টে। কিন্তু সেটা জেনেও তো কেউ আমাদের ফাইনালে ওঠা আটকাতে পারেনি। এই স্ট্র্যাটেজিতে খেলেই সফল হয়েছি। এ বারও হবো। দু’টো সেমিফাইনালে দু’রকম টিম। এ রকম সচরাচর হয় না। কোনও টিম এটা করে দেখানোর সাহস দেখায়নি। আমাদের কোচের এই মনোভাব টিমের মধ্যে আরও সাহস জোগাচ্ছে। সবাই ফাইনালের জন্য তৈরি।
• নিজের লক্ষ্য
গতবার প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়েছিলাম। ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। হতাশা নিয়ে দেশে ফেরার বিমানে উঠেছিলাম। তার পর সেমিফাইনাল থেকে এটিকে যখন অল্পের জন্য ছিটকে গেল আরও কষ্ট পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমি যদি থাকতাম তবে অন্য রকমও কিছু হতে পারত। গতবারের সেই আফসোস এ বার মেটাতে চাই আমার টিমকে চ্যাম্পিয়ন করে।
• হাবাস বনাম মলিনা
হাবাসের কোচিংয়ে মাত্র একটা ম্যাচ খেলেছিলাম। তাই ওঁর সম্পর্কে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। মলিনা ভাল কোচ। পাশাপাশি ভাল মনের মানুষ। এক দিকে উনি যেমন সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তেমনই টিমের সবার মধ্যে ভাল বোঝাপড়া তৈরি করে রেখেছেন। সব ফুটবলারকে সমান ভাবে উৎসাহিত করে থাকেন। সেই জন্যই টিমটা ফাইনালে। এ বার শুধু চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। অন্য কিছু ভাবছিই না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy