এন শ্রীনিবাসন। ছবি: রয়টার্স।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁরা এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলে ব্রাত্য। বিসিসিআই-এর কোনও সভায় প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই তাঁদের। তবে, বোর্ডে না থেকেও তাঁরা যে বোর্ড এবং সিওএ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা করে যাবেন তা আবারও বুঝিয়ে দিলনে নিরাঞ্জন শাহ-এন শ্রীনিবাসনরা।
গত ২ অগস্ট বিসিসিআইয়ের অধীনস্ত ক্রিকেট বোর্ড গুলিকে চিঠি দিয়ে কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটার (সিওএ) জানিয়েছিল, ৮ অগস্ট ২০১৭-র মধ্যে তাদের সাধারণ সদস্যের নাম সিওএ-এর কাছে জমা দিতে। বোর্ড সূত্রে খবর, সিওএ-এর দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও তামিলনাডু, সৌরাষ্ট্র, কর্নাটক, হরিয়ানা এবং অসম নিজেদের সদস্য তালিকা জমা দেয়নি।
আরও পড়ুন: শামি-ভুবিদের কৃতিত্ব উমেশের
উল্লেখ্য, তামিলনাডু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে শ্রীনিবাসন এবং সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডে নীরঞ্জন শাহ-ই সর্বেসর্বা। এ দিন সিওএ সদস্য ডায়না এডুলজি জানান, সিওএ দেওয়া সময়ের মধ্যে ১০টি রাজ্য সংস্থা তাদের তালিকা পাঠিয়েছে এবং নির্ধারিত দিনের পর পাঠিয়েছে আরও ১০টি সংস্থা। মোট ২০টি সংস্থা তাদের সদস্য তালিকা পাঠিয়েছে। কিন্তু অসম-সৌরাষ্ট্রের মত শ্রীনি ঘনিষ্ট বোর্ড গুলি ক্রমাগত অসহযোগিতা করে চলেছে। এ দিন বোর্ডের এক আধিকারিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন “শ্রীনিবাসন লবি শুধু সিওএ-এর সঙ্গেই অসহযোগিতা করছে না, সুপ্রিম কোর্টকেও অসম্মান করছে।”
আরও পড়ুন: সীতা-বন্দির বন দেখে নামছে ভারত
বোর্ড সূত্রে খবর, লোঢা কমিটির সুপারিশে প্রশাসনিক রদবদল মেনে না নেওয়া হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, কেরলের মত বোর্ডগুলিও সিওএ-কে নিজেদের তালিকা জমা দিয়েছে। সিওএর নির্দেশ মেনে তা পালন করেছে জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিমও। কিন্তু সেই নির্দেশ মানার প্রয়োজনই মনে করেনি শ্রীনি-শাহদের বোর্ড।
এখন এটাই দেখার, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিওএ-এর সঙ্গে ক্রমাগত অসহযোগিতার পর শ্রীনি-শাহদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy