ওরা সবাই দূর দেশ থেকে এসেছে। কেউ কেউ মহাসাগর পেরিয়ে। কেউ কেউ অন্য মহাদেশ থেকে। ওদের অনেকে যশ চায়। অনেকে আবার চায় দীর্ঘ কেরিয়ার। তবে প্রায় প্রত্যেকেরই পাখির চোখ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ‘গুড বুক’-এ থাকা। এটাই যে ক্রিকেটের সোনার খনিএখানে তোমার যদি গুরুত্ব না থাকে, তা হলে খেলাটার দর্শকদের কাছেও তুমি পাত্তা পাবে না।
কেউ কেউ ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সে রকমই দশা হয়েছে। ওদের মতোই অবস্থা আমাদের দক্ষিণের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার সাদার্ন এক্সপ্রেসেরও। উদ্যোক্তা ভারতের তবুও তিনটে হেভিওয়েট টিম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি- টোয়েন্টিতে রয়েছে। তাদের মধ্যে দু’টো দল, কলকাতা আর চেন্নাই বুধবার রাতেই মুখোমুখি হল।
এখানে ভুল করার সুযোগ খুব কম। প্রত্যেকেই রানের পিছনে পড়িমড়ি ছুটছে। নির্দিষ্ট এগারো ক্রিকেটার অনেক দিন একসঙ্গে খেলছে, এ রকম টিমেরই ভাল পারফরম্যান্স করার সম্ভাবনা বেশি। সে কারণে ‘দেশত্যাগী’দের জন্যও লাল কার্পেট বিছানো রয়েছেজর্জ বেইলি বা ডোয়েন ব্র্যাভো ওদের নিজের-নিজের আইপিএল দলকেই কেরিয়ারের কেন্দ্রমুখ হিসেবে বেছে ঠিকই করেছে। অন্য দিকে, ডাগ বোলিঞ্জার বা বেল হিলফেনহস, যারা নিজেদের দেশের টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গেই লেগে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুর্নামেন্টে, নিশ্চয়ই সেটা সর্বাধিক ম্যাচ খেলার আশায়!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত ভাবে কিছু কেরিয়ার তৈরি করে দেবে। কায়রন পোলার্ডের যেমন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর হয়ে এই টুর্নামেন্টে শুরু হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে দ্রুত এবং ধারাবাহিক উন্নতি ঘটেছে। এ ব্যাপারে অন যে ক্রিকেটারের নাম এখনই মনে পড়ছে, সে হল অ্যারন ফিঞ্চ। পাকিস্তানিদের মধ্যে শোয়েব মালিক আর ইয়াসির আরাফত যে দল পেয়েছে, তাতেই ঢুকে পড়েছে। যাতে এই ক্রিকেট-ক্যারাভানের রাস্তায় নিজেদেরকে রাখতে পারে।
নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ক্যারিবিয়ান টিম— সবাই এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি উপলক্ষ্যে এখানে। তাদের সঙ্গে অবশ্যই কয়েকটা ভারতীয় টিমও। এবং সবার হৃদয়ে রয়েছে আর কয়েক মাস পরেই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ব্যাপারটা। অবশ্যই দু’টো ভিন্ন ফর্ম্যাট। কিন্তু এই কথাটা রবিন উথাপ্পাকে বলতে যান! যে এই টুর্নামেন্টে ভাল কিছু দেখিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার বিরাট আশা বুকে বহন করছে।
এই সময়টায় আমাদের দেশের আবহাওয়ার বদল টুর্নামেন্টের উপর প্রভাব ফেলবে। চণ্ডীগড়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচ আছে। যেখানে শীতকাল প্রায় দোড়গোড়ায়। আবার হায়দরাবাদ বা বেঙ্গালুরুর মতো দক্ষিণাঞ্চলের শহরে ফিরতি বর্ষা ম্যাচে থাবা বসাতে পারে। এর ফলে ম্যাচগুলোর ভাগ্য সরু সুতোর উপর নির্ভর করবে। একটা তাৎপর্যপূর্ণ বল, রান বা উইকেটই শুধু নয়, বৃষ্টির খানিকটা ছিটেও দলগুলোর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
তাই এ বার কুড়ি ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চূড়ান্ত পরিণতি শুধু ক্রিকেটার, কেবল ক্রিকেটারেরই হাতে থাকছে না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy