চাচা শিকাগো (বাঁ দিকে), মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যে দিন ভারতীয় সাজঘর থেকে শেষ বারের মতো বেরিয়ে গেলেন, গ্যালারি ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন তিনিও। তার পর বাইশ গজে মোকাবিলা হয়েছে অনেক। কিন্তু ছিলেন না ধোনি। ঠিক তেমনই গরহাজির ছিলেন তিনিও। তিনি মহম্মদ বশির বোজাই। বেশি পরিচিত চাচা শিকাগো নামে। করাচির আদি বাসিন্দা চাচা শিকাগো ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর অন্ধ ভক্তকূলের অন্যতম সদস্য। বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের মেন্টর হয়ে ফিরেছেন ধোনি। সেই সঙ্গে গ্যালারিতে ফিরেছেন ৬৪ বছরের চাচা শিকোগাও। চাচার আশা, এবারও তাঁর জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবেন ধোনি।
করাচিতে জন্ম-কর্ম হলেও বর্তমানে কানাডায় থাকেন চাচা শিকাগো। ধোনি যেদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন, ভারাক্রান্ত মনে ঠিক করেছিলেন, নিজেও ক্রিকেট দেখাকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু যেই শুনতে পেলেন ভারতীয় দলের মেন্টর হিসেবে ড্রেসিংরুমে ফিরছেন এমএস, নিজেকে সামলাতে পারেননি। রওনা হন দুবাই।
তবে এ বারই অবশ্য প্রথম নয়। ভক্ত চাচাকে ধোনি প্রথম বার ম্যাচের টিকিট দিয়েছিলেন ২০১১ সালে। সে বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মোহালিতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ২০১৪-য় ঢাকায় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও চাচার হাতে পৌঁছেছিল ধোনির ম্যানেজারের মাধ্যমে। আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে চাচা চাইছেন, ঢাকা-মোহালির পুনরাবৃত্তি হোক, টিকিট পাঠান ধোনি। গ্যালারি থেকে সাজঘরে বসে থাকা ধোনিকে দেখবেন বলে নিজেই বানিয়ে নিয়েছেন ভারত-পাক মৈত্রীর বার্তাবহ মাস্ক এবং জার্সি।
চাচা বলছেন, ‘‘ধোনি আমার জন্য একটা টিকিট রেখে দিয়েছেন, আমি নিশ্চিত। দুবাইয়ে নেমেই ধোনিকে বার্তা পাঠিয়েছিলাম। হয়ত করোনার কারণে ধোনির সঙ্গে দেখা করতে পারব না, কিন্তু প্রথম বল থেকে খেলাটা দেখতে পারব, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’
তাহলে কি চাচা শিকাগো ভারতের জয় চাইছেন? চাচার জবাব, ‘‘আমি চাই পাকিস্তান আর এমএস ধোনি জিতুক।’’ দুবাইয়ে যে হোটেলে চাচা উঠেছেন, সেখানে অনেকেই চাচাকে চিনতে পারছেন। এই প্রসঙ্গে মহম্মদ বশির জানান, ‘একদল পাকিস্তানি সমর্থক হোটেলে আমায় চিনতে পেরে যান। রসিকতা করে তাঁরা আমায় জিজ্ঞেস করেন, আমি কি ভারতের জয় প্রার্থনা করছি? আমি উত্তর দিই, একেবারেই না, আমি চাই ধোনি জিতুন। এ কথা শুনে ওঁরা আমাকে গদ্দার বলে হেসে উঠলেন। বেশ মজা পেয়েছি!’’ চাচার কথায়, ‘‘শেষ বারের মতো ধোনি ভারতীয় সাজঘরে ঢুকলেন। আর হয়ত কোনও দিন তাঁকে এ ভাবে দেখার সুযোগ আসবে না। আমারও বয়স হচ্ছে। এই সুযোগটা কোনও ভাবেই ছাড়তে পারলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy