ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সেই কলঙ্কিত মুহূর্ত। ফাইল চিত্র
ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টের ‘বাউন্সার’-এ এখন রীতিমতো বেসামাল অবস্থায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাঁর বক্তব্যের পর বল বিকৃতি কেলেঙ্কারির ছায়া তাড়া করে চলেছে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং আরও কয়েক জন অজিদের। কারণ তাঁর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ছিল ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউনের নিউল্যান্ডস টেস্টে বল বিকৃতি ঘটনা দলের একাধিক বোলার জানতেন। আর এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যদিও এখন এই অজি ব্যাটসম্যান বলছেন তাঁর কাছে নাকি আর নতুন কোনও তথ্য নেই।
২০১৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুটো টেস্ট খেলার পরে সেই যে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জন্য, তার পরে আর খোলেনি। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলছেন ব্যানক্রফ্ট। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। অবশ্য এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে সেটা নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ব্যানক্রফ্ট নাকি বলেছেন তাঁর কাছে এই বিষয়ে নতুন তথ্য নেই।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অস্ট্রেলীয় বোলাররা কি জানতেন, আপনি শিরিষ কাগজ দিয়ে বলের পালিশ তুলে দিচ্ছেন? জবাবে ব্যানক্রফ্ট বলেন, ‘‘আমি যেটা করেছিলাম, সেটা তো বোলারদেরই সাহায্য করেছিল। ঘটনাটা সম্পর্কে যে সবাই ওয়াকিবহাল ছিল, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।’’ ব্যানক্রফ্টের এই অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়তেই আসরে নামে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
সম্প্রতি একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র বলেন, ‘‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বার বার বলে এসেছে, যদি কারও কাছে সেই ২০১৮ সালের কেপ টাউন টেস্ট নিয়ে নতুন কোনও তথ্য-প্রমাণ থাকে, তবে সে যেন তা জানায়।’’ নতুন তথ্য হাতে এলে তা নিয়ে তদন্ত করার ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় বোর্ডের মুখপাত্র এও বলেছেন, ‘‘ওই সময় খুব খতিয়ে তদন্ত হয়েছিল। তার পরে কিন্তু কেউ এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি, যা দেখে অস্ট্রেলীয় বোর্ডের তদন্তের ফল নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy