বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে ভারতের প্রাক্তন কবাডি খেলোয়াড় দীপক নিবাস হুডা ও তাঁর বক্সার স্ত্রী সুইটি বুরার মধ্যে। সেই মামলা নিয়েই থানায় ডাকা হয়েছিল তাঁদের। সেখানেই দীপককে ঘুষি মারেন সুইটি। পুলিশের সামনেই ঘটেছে ঘটনা। সুইটিকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার হিসার পুলিশ স্টেশনে। দীপক ও সুইটি ছাড়াও সেখানে তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা ছিলেন। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সকলে চেয়ারে বসে কথা বলছেন। হঠাৎই ঝগড়া শুরু হয়। তখনই চেয়ার ছেড়ে উঠে দীপককে ঘুষি মারেন সুইটি। তিনি অবশ্য পাল্টা কিছু করেননি। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের বাকিরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। ছুটে আসেন পুলিশকর্মীরা। তবে সুইটিকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। তিনি চিৎকার করছিলেন দীপকের উপর। দীপক অবশ্য নিজের চেয়ারে চুপচাপ বসেছিলেন।
বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী সুইটির সঙ্গে ২০২২ সালে বিয়ে হয় ভারতের কবাডি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দীপকের। তবে বেশি দিন একসঙ্গে থাকেননি তাঁরা। দীপকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সুইটির। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। দীপকের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগও দায়ের করেছেন সুইটি। তাঁর অভিযোগ, ৪৫ দিন হয়ে গেলেও হিসারের পুলিশ সুপার শশাঙ্ক কুমার সাওয়ান কোনও ব্যবস্থা নেননি। উল্টে তাঁর বাবা মহেন্দ্র সিংহ ও মামা সত্যবানের বিরুদ্ধে দীপককে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সুইটির অভিযোগ, বিয়ের চার দিন পরেই তাঁদের কাছে আড়াই কোটি টাকার একটি গাড়ি চান দীপক। তাঁর বাবা ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে একটি গাড়ি জামাইকে উপহার দেন। তার পরেও পণের চাপ কমেনি। দীপক তাঁকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ সুইটির। চাপে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন সুইটি।
এই প্রসঙ্গ হিসারের পুলিশ সুপার শশাঙ্ক জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। সেই কারণেই এখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত হওয়ার পরে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। সুইটির অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দীপক।