প্রথম ম্যাচ হারতে হয়েছে গত বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের। বুধবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স। গুয়াহাটির মাঠে সেই ম্যাচের আগে কেকেআরের বোলিং কোচের মুখে ব্যর্থতার কথা। তিনি জানালেন, খেলায় সাফল্যের থেকে ব্যর্থতাই বেশি দেখা যায়।
রাজস্থান ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে অরুণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আগের ম্যাচের হার নিয়ে। প্রথম ম্যাচ হারায় কি দলের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে? জবাবে অরুণ বলেন, “আমরা খুব বেশি চিন্তা করছি না। প্রথম ম্যাচ জিতলে সুবিধা। শুরুটা ভাল হয়। কিন্তু আগের ম্যাচে অনেক ইতিবাচক বিষয় ছিল। সেগুলো নিয়েই আমরা ভাবছি।”
তার পরেই ব্যর্থতার কথা শোনা যায় অরুণের মুখে। দার্শনিকের মতো অরুণ বলেন, “খেলায় ব্যর্থতাই বেশি দেখা যায়। কোনও ক্রিকেটার যত না সফল হয়, তার থেকে বেশি ব্যর্থ হয়। সেটা ক্রিকেটারেরা জানে।”
আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আন্দ্রে রাসেল বিশেষ কিছু করতে পারেননি। ব্যাট করতে নেমে মাত্র চার রান করে আউট হয়েছেন। বলও করেননি। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তার শোধ রাসেল নেবেন বলে মনে করেন অরুণ। তিনি বলেন, “রাসেল চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ও একটা ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে। বাকি সব ম্যাচে তার শোধ নেওয়ার চেষ্টা করবে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী রাসেলকে আমরা দেখতে পাব। অন্তত আমার সেটাই মনে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন:
এ বার আইপিএলের শুরু থেকেই ২০০-র বেশি রান হচ্ছে। আবার সেই রান তাড়াও হয়ে যাচ্ছে। তাই কোনও দলকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন না অরুণ। কেকেআরের বোলিং কোচ বলেন, “প্রতিটা দলে ভাল ব্যাটার ও বোলার রয়েছে। ২০০ রান এখন কোনও ব্যাপার নয়। যে কোনও দল অন্য দলকে হারিয়ে দিতে পারে। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত যে দল জিতবে তারা খেলা জিতবে। আমরা রাজস্থানের বিরুদ্ধে সেটা করার চেষ্টা করব।”
আলাদা করে রাজস্থানের কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে পরিকল্পনা করেননি তাঁরা। বদলে গোটা দলকে নিয়ে ভেবেছেন। অরুণ বলেন, “এখন দলের সকলে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোন ম্যাচে কে ভাল খেলবে কেউ বলতে পারে না। তাই সকলকে নিয়েই আমরা পরিকল্পনা করেছি। গুয়াহাটির মাঠ দেখে বেশ ভাল লাগছে। পিচ কেমন এখনও জানি না। তবে আশা করছি ভাল খেলা হবে।”
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ