প্রতীকী ছবি।
বয়সভিত্তিক বিভাগে বাংলার ছেলে-মেয়েরা তেমন সুবিধা করতে না পারলেও দলগত সিনিয়র বিভাগে সফল হল তাঁরা। হাওড়ায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত পূর্বাঞ্চলীয় টেবল টেনিসে সোমবার চ্যাম্পিয়ন হল বাংলার ছেলে ও মেয়েদের দল।
অর্জুন ঘোষ, রণিত ভঞ্জ, সৌগত সরকার ও অভিমন্যু মিত্ররা এ দিন ৩-১ হারালেন উত্তরবঙ্গকে। অন্যদিকে প্রাপ্তি সেন, কৃত্তিকা সিংহ রায়, পয়মন্তী বৈশ্য এবং সুরভী পাটোয়ারিরা একই ব্যাবধানে হারায় উত্তরবঙ্গকে। এই ফলের সুবাদে জাতীয় গেমসে খেলতে পারবে ফাইনালে ওঠা চারটে দল। মহারাষ্ট্রের মতো বাংলা ‘এ’ এবং বাংলা ‘বি’ নামে খেলবে দলগুলি।
সিনিয়ররা সফল হলেও যুব বিভাগে বাংলা তেমন সুবিধা করতে পারল না। পয়মন্তী বৈশ্য হেরে গেলেন সেমিফাইনালে। মেয়েদের বিভাগে বাংলার একমাত্র আশা ছিটকে যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন হলেন মহারাষ্ট্রের দিয়া পরাগ চৈতালে। ছেলেদের যুব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক করল তামিলনাড়ুর ভীষ্ম দীনদয়ালন। তিনি ১১-৮, ১১-৮, ৮-১১, ৭-১১, ৯-১১, ১১-৪ এবং ১২-১০ এ হারান দিল্লির ইয়াসহন্স মালিককে। ভীষ্মের এটি এ মরসুমে দ্বিতীয় সর্বভারতীয় ট্রফি জয়। যুব বিভাগে ভীষ্মের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয় ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পাওয়া অরূপ বসাককে। সংবর্ধনা নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘গত কুড়ি বছর এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। দারুণ অনুভূতি।’’ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ অরূপ বলে দেন, ‘‘শরথ কমল এবং জি সাথিয়ন সেরা ফর্মে আছে। আরও একজন খেলোয়াড় দরকার দলে। হেমন্ত দেশাই এবং অ্যান্টনি অমলরাজও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বেশ ভাল খেলছে। মানব ঠক্করের দিকেও আমাদের নজর আছে।’’ মেয়েদের বিভাগে মনিকা বাত্রার উপর অনেক বেশি আস্থা রাখছেন অরূপ। বলছিলেন, ‘‘সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়, ঐহিকা মুখোপাধ্যায়, অর্চনা কামাথ এবং মাধুরিকা পাটেকর টোকিয়োতে যাওয়ার অন্যতম দাবিদার। তবে মনিকার সঙ্গে এদের মধ্যে থেকে দু’জনকে অলিম্পিক্সের জন্য বেছে নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy