উদাহরণ: আইএসএলে দুরন্ত ফর্মে সুব্রত পাল। ছবি: আইএসএল।
এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে বেশিরভাগ গোলকিপার সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। বরং গোলকিপারদের কিছু ভুল ম্যাচের ভাগ্য পর্যন্ত বদলে দিয়েছে। আর সেই ভুলগুলো ছিল প্রায় শিশুসুলভ।
মানছি, খেলায় ভুল হবেই। কিন্তু সেই ভুলগুলো যখন প্রায় শিশুসুলভ পর্যায়ের হয়ে যায়, তখনই সমস্যা। যে ফুটবলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগে খেলছে, তার কাছ থেকে এ সব প্রত্যাশিত নয়। আরও একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে। আপনি যত ভালই খেলুন না কেন, ওই সব ভুলের জন্যই হয়তো আপনাকে লোকে মনে রেখে দেবে।
অনেকেই বলেন, গোলকিপিং একই সঙ্গে যেমন কঠিন তেমনই ‘থ্যাঙ্কলেস জব’। আপনি ভাল খেললেও কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু ছোটখাটো ভুল করলেই সমালোচনার মুখে পড়বেন। আমি মনে করি, পুরো ব্যাপারটাই একজনের মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। সুব্রত পালের কথাই ধরুন না। যত দিন গড়াচ্ছে, তত যেন ভাল হচ্ছে। প্রতিটা ম্যাচে নামার আগে সুব্রতর মানসিকতা কী রকম থাকে, সেটাই কিন্তু শেখা উচিত তরুণ গোলকিপারদের। শুক্রবারের ম্যাচটা পর্যন্ত ধরে সুব্রত ছ’টার মধ্যে পাঁচটায় কোনও গোল খায়নি। প্রথম চারটে ম্যাচেই গোলে বল ঢুকতে দেয়নি সুব্রত। আর সেটাই জামশেদপুর এফ সি-কে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে এসেছে। গোলকিপারের এ রকম ফর্ম থাকায় কোচ স্টিভ কপেল-কে টিম কম্বিনেশন তৈরি করতে সমস্যায় পড়তে হয়নি।
ফিটনেস, মানসিকতা, খেলার খিদে, নিজেকে উদ্দীপিত করতে পারা— এ সবগুলোই কিন্তু সুব্রতর চারিত্রিক বৈশিষ্ট। ও সব সময় লড়াই করতে ভালবাসে। সুব্রতকে ঠিকমতো ব্যবহার করার জন্য আমি কপেল-কে কৃতিত্ব দেবো। টিমে যদি সুব্রতর মতো ফর্মে থাকা গোলকিপার থাকে, তা হলে ডিফেন্ডাররা অনেক চাপমুক্ত অবস্থায় খেলতে পারে। আবার গোলকিপারের এই আত্মবিশ্বাসটা পুরো টিমে ছড়িয়েও পড়ে।
এ বারের আইএসএলের প্রতি ম্যাচে ছ’জন ভারতীয় খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তরুণ ভারতীয় গোলকিপারদের কিন্তু এই সুযোগটা কাজে লাগানো উচিত। আর তার জন্য সুব্রত পালের থেকেই শিখতে হবে ওদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy