নজরে: ফের গড়াপেটা বিতর্ক তাড়া করছে শ্রীনিকে। ফাইল চিত্র
ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া এ বার গিয়ে পড়ল তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল)। যে সংস্থা এবং যে টি-টোয়েন্টি লিগের কর্ণধার ভারতীয় বোর্ডের প্রাক্তন সর্বময় কর্তা এন শ্রীনিবাসন। তাঁর সংস্থা যখন বোর্ডের নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার হারাচ্ছে, তখন শ্রীনি-পরিচালিত লিগ নিয়েও অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ।
তামিলনাড়ুর এই লিগে অংশগ্রহণকারী কয়েক জন ক্রিকেটার এবং দু’এক জন কোচের বিরুদ্ধে গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জল গড়িয়েছে ভারতীয় বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখা পর্যন্ত। তারা ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এবং, যা ইঙ্গিত, গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত কারা, সেটাও আন্দাজ করতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অজিত সিংহ এই ঘটনায় কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের জড়িত থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘টিএনপিএলে খেলা কয়েক জন ক্রিকেটার আমাদের জানিয়েছেন, তাঁরা অচেনা কয়েক জন ব্যক্তির কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছেন। আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, এই মোবাইল-বার্তার প্রেরক কারা। অভিযোগকারী ক্রিকেটারদের বয়ানও রেকর্ড করেছি।’’ মনে করা হচ্ছে, এই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাতেই সম্ভবত গড়াপেটার প্রস্তাব সম্পর্কিত কোনও কথা লেখা ছিল। দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান যদিও বলে দিচ্ছেন, ‘‘কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এই ঘটনায় জড়িত নয়।’’
রাজস্থান পুলিশের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অজিত সিংহ সঙ্গে এটাও বলেছেন, কোনও দল-মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি। দুর্নীতি দমন শাখার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, অভিযোগের তির লিগ টেবলের মাঝামাঝি থাকা একটি দলের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছে, ‘‘আট দলের টিএনপিএল-এ শেষ তিনে রয়েছে এই দলটি। এই দলটির মালিক কারা তা নিয়েই অনেক ধোঁয়াশা। এই দলটির ক্রিকেটার ও কোচেরা বোর্ডের নজরে রয়েছেন।’’ আরও বিস্তারিত তথ্য হল, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের একজন অখ্যাতনামা কোচের ভূমিকা বেশ সন্দেহজনক। এই কারণেই নাকি তাঁকে নজরে রাখা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওই সূত্র আরও বলেন, ‘‘এমন একজন কোচের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যিনি একটি বিতর্কিত আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে একটি রঞ্জি দলের কোচ হন। তার পরে এক মরসুম টিএনপিএল-এর একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সে ভাবে না খেলেই এক ব্যক্তি ক্রিকেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এত সুযোগ পাচ্ছেন?’’
প্রসঙ্গত, শ্রীনি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েন শ্রীসন্ত, চান্ডিলারা। তার পর মুম্বই পুলিশের তদন্তে ধরা পড়েন শ্রীনির জামাই গুরুনাথ মইয়াপ্পান। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান কর্তা হয়েও বেটিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে গুরুনাথের বিরুদ্ধে। শ্রীনি তাঁকে রক্ষা করতে গেলে গোটা দেশে বিতর্ক আছড়ে পড়ে। জামাইকে বাঁচাতে গিয়েই বোর্ডের পদ খোয়াতে হয় শ্রীনিকে। এখন যে লোঢা কমিটির সংস্কার এসে পড়েছে বোর্ডে, তার শুরু সেই শ্রীনির ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জামাইকে রক্ষা করতে যাওয়া থেকে। নির্বাচনের আগেই ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠায় শ্রীনি শিবিরকে খুব একটা স্বস্তিতে রাখবে না।
এ দিনই সিওএ প্রধান বিনোদ রাই জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা হয়তো তাদের ভোটাধিকারও হারাতে পারে। কারণ, লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে উঠতে পারেনি সেই ক্রিকেট সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy