অস্বস্তি: নীতি আধিকারিকের রায়ে সমস্যায় সৌরভ-লক্ষ্মণেরা। ফাইল চিত্র
স্বার্থ-সংঘাত নিয়ে এ বার কড়া রায় দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নীতি আধিকারিক (এথিক্স অফিসার) ডি কে জৈন। যিনি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। শুক্রবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাক্তন ও বর্তমান যে সব ক্রিকেটার ধারাভাষ্যের পাশাপাশি ক্রিকেট প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকছেন, তাঁরাও স্বার্থ-সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘন করছেন। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত লোঢা কমিটি জানিয়ে দিয়েছিল, এক ব্যক্তি একের বেশি পদে থাকতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে।
শুক্রবার প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভি ভি এস লক্ষ্মণের স্বার্থ সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয়ে রায় দেন প্রাক্তন বিচারপতি জৈন। সেখানে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ধারাভাষ্য-সহ ক্রিকেটের বিভিন্ন পদে থাকার বদলে যে কোনও একটি পদ বেছে নিতে হবে এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন সৌরভ। পাশাপাশি তিনি বাংলার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা সিএবি-র প্রেসিডেন্ট, ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও আইপিএলে দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা। লক্ষ্মণও ধারাভাষ্যের পাশাপাশি বোর্ডের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, আইপিএলে হায়দরাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর।
এর আগে সৌরভ ও লক্ষ্মণের মতো স্বার্থ সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছিল সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধেও। কিন্তু এক মাস আগে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করায় এই মুহূর্তে স্বার্থ-সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘনের আওতায় পড়ছেন না সচিন। সে তথ্য জানিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জৈন বলেন, ‘‘ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করায় সচিন এই মুহূর্তে স্বার্থ-সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘনের আওতায় পড়েন না। বাকি দু’জন অর্থাৎ সৌরভ ও লক্ষ্মণকে বলা হচ্ছে, যে কোনও একটি পদ বেছে নিতে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এখন ওঁরা কী করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করুন। কী ভাবে কোন ভূমিকায় থেকে ক্রিকেটের উৎকর্ষ বাড়াতে চান সৌরভ ও লক্ষ্মণ, তা ওঁদের নিজেদের ঠিক করতে হবে। আমি নতুন কিছুই করিনি। লোঢা কমিটির সুপারিশ মনে করিয়ে দিয়েছি কাগজে কলমে। এ বার তা প্রয়োগের কাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।’’
প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপে সচিনও ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে নীতি আধিকারিক জানিয়েছেন, সচিনের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তাতে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর হিসেবে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে নীতি আধিকারিক জৈন বলছেন, ‘‘এই রায়ে কিছু ফাঁকফোকর থাকতেই পারে। কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রশ্ন থাকলে করা যেতেই পারে। কারণ, একজনকেও বরদাস্ত করা হবে না। লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর হবে।’’ তিনি আরও বলছেন, ‘‘স্বার্থ-সংঘাত লঙ্ঘন করা হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নীতি কী তা কাগজ-কলমে জানিয়ে দিয়েছি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই রায় গ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। কারণ প্রয়োগের দায়িত্ব বোর্ডেরই।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy