বার্সেলোনার তিনমূর্তির সামনে কোনও রক্ষণই যথেষ্ট নয়। সেটা আরও একবার দেখা গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে। শুরু করলেন নেইমার শেষ করলেন মেসি। মাঝের সময়টা থাকল সুয়ারেজের। জানাই ছিল এই বার্সেলোনাকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা নেই আর্সেনালের। হয়ওনি। নেনির পা থেকে একটি গোল এল ঠিকই কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। যার ফল এই ম্যাচে ৩-১ এ জয়ের সঙ্গেই দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ এ জিতে শেষ আটে জায়গা করে নিল বার্সেলোনা। ১৮ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার। আর্সেলান রক্ষণের পাশ কাটিয়ে নেইমারের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন সুয়ারেজ। সেই বলই মাথার টোকায় প্রতিপক্ষের জালে জড়ালেন ব্রাজিল তারকা। তার আগেই নেইমারের পাস থেকে মেসি নিশ্চিত গোলের সুযোগ আটকে দিয়েছেন ওসপানিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর্সেনালকে সমতায় ফেরান এল নেনি। ৫১ মিনিটে আর্সেনালের জার্সিতে নিজের নামের পাশে প্রথম গোল লিখে নিলেন তিনি। কিন্তু সে গোল জয় এনে দিতে পারল না দলকে। যেভাবে পর পর গোলের সুযোগ নষ্ট করল আর্সেনাল সেটা ওয়েঙ্গারের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ৬৫ মিনিটে লুই সুয়ারেজের গোলে আবার এগিয়ে যায় বার্সা। দানি আলভেজের মাপা ক্রসে সুয়ারেজের ভলি ধাক্কা খেয়ে ফিরে এসে তাঁরই কাধে লেগে চলে যায় গোলে। ৮৮ মিনিটে ৩-১ করে যায় মেসি।
কিন্তু বার্সেলোনা-আর্সেনাল ম্যাচের উত্তেজনাকে ছাপিয়ে গেল একই সময় অন্য প্রান্তের আর একটি ম্যাচ। যেখানে প্রথম ম্যাচের ২-২ ফল নিয়ে খেলতে নেমেছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও জুভেন্তাস। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। আর সেখানেই বাজিমাত বায়ার্নের। শুরুটা দারুণভাবে করেও ছিটকে যেতে হল জুভেন্তাসকে। ৫ মিনিটেই পোগবার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জুভ। ২৮ মিনিটে ২-০ করেন বেল্লো।
৭২ মিনিট পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখেও শেষ পর্যন্ত ছিটকে যেতে হল বুঁফো, খেদিরাদের। ৭৩ মিনিটে যখন নেওয়ানোডস্কি বায়ার্নের হয়ে ব্যবধান কমালেন তখনও হয়তো আশায় ছিল জুভেন্তাস। শেষ বাঁশি বাজলেই উৎসবের পরিকল্পনায় জুভেন্তাস শিবির। কিন্তু ৯১ মিনিটে সব হিসেব বদলে দিয়ে বায়ার্নকে সমতায় ফেরালেন থমাস মুলার। ম্যাচ হয়ে গেল ৪-৪। গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। ১০৮ ও ১১০ মিনিটে পর পর নাসিমেন্তো ও কোমানের গোলে ৪-২ এ জিতে জুভেন্তাসের সব আশায় জল ঢেলে দিল বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও খবর
শেষ আটে সিটির সঙ্গে আটলেটিকোও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy