লড়েছিলেন দারুণ। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেন না টাইগাররা। বিষন্নতা জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। আর টিমের অন্দরে? ভেঙেচুরে যাওয়া একটা শিবিরের ছবি।
খেলার পর নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সবচেয়ে বেশি হতাশ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অনেক রাত পর্যন্ত হোটেলের ব্যালকনিতে বসে কান্নাকাটিও করেছেন। তাঁর শটটা নিয়ে ভীষণ ভাবেই হতাশ। প্রায় রাত তিনটে পর্যন্ত সব খেলোয়াড়রা ব্যালকনিতেই বসেছিলেন। পরে বোর্ড চেয়ারম্যানের সান্ত্বনায় ক্রিকেটাররা হোটেলের ঘরে ফেরেন। ইচ্ছা ছিল ২৩ তারিখে ডু অর ডাই ম্যাচে চিন্নস্বামীতে ভারতকে হারিয়ে ২৪ তারিখে সাকিবের জন্মদিনে সকলে মিলে জমিয়ে পার্টি করবেন। সেটা আর হল না। দু্র্বলতা কাটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ভাল ফর্মেই ছিলেন তামিম। মাহমুদউল্লাহ আর মুসফিক জুটি এর আগেও দুরন্ত ঝোড়ো ম্যাচ উপহার দিয়েছে। কিন্তু সব কিছু উল্টোপাল্টা হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- ক্রিকেট মনন ভুলে নাচের দোল দ্রাবিড়ের শহরেরও
বাংলাদেশের কাছে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটি ছিল একটি টার্নিং ম্যাচ। যে দলটি সবে উঠতে চলেছে। ধীরে ধীরে বিশ্ব-ক্রিকেটে একটা জায়গা করে নিচ্ছে। সেই দলের এমন হার যে ভীষণ আক্ষেপের তা বলাই বাহুল্য। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হারালে পরে আরও অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হত দলটি। কিন্তু ভারতের কাছে খারাপ ভাবে হেরে যাওয়াটা অনেকটাই হতাশ করল মাশরাফিদের।
ভারত –বাংলাদেশ ম্যাচের দিনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপুন বেঙ্গালুরুতে ঘোষণা করেন, জিতলেই মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুসফিক এবং মাহমুদউল্লাহ-- এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারকে একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। খুশির হাওয়া ছিল দলের অন্দরে। মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফিরা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু বিধি বাম। শেষ বলে বদলে গেল গোটা চিত্রটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy