মধ্যপ্রদেশের দুই পেস অস্ত্র। ঈশ্বর (বাঁ দিকে) ও আবেশ। —নিজস্ব চিত্র।
ভারতীয় দলের নেট বোলার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন তিনি। এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতি দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিরুদ্ধে বল করে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ালেও ‘নেট বোলার’ হয়ে থাকার তকমা সরিয়ে নিয়মিত ভারতীয় দলের সদস্য হয়ে উঠতে চান। তিনি মধ্যপ্রদেশের তরুণ পেসার আবেশ খান।
সোমবার বাংলার বিরুদ্ধে ইডেনে নামবেন তিনি। তার আগে শনিবার মধ্যপ্রদেশের অনুশীলন শেষে আবেশ বলেন, ‘‘ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠতে চাই আমি। শুধু টেস্ট নয়, যে কোনও ফর্ম্যাটের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছি। ভারতীয় দলের নেটে বিরাট ভাই, ধোনি ভাইদের বল করে প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি ঠিকই, কিন্তু শুধু নেট বোলার হয়ে থাকলে চলবে না। তাই আমার কাছে এ মরসুমের রঞ্জি ট্রফি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
এ মরসুমের আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে সাত ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আবেশ। যার কাছে ক্রিকেট আয়ের উৎসও। ২১ বছর বয়সি আবেশ বছর ছয়েক আগে জীবনের কঠিন রূপটি দেখে ফেলেছেন। তাঁর বাবার পানের দোকান ছিল। সেখান থেকে যা উপার্জন হতো তা দিয়েই চলত সংসার। রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য তাঁর বাবার পানের দোকানটি ভেঙে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। তার পর থেকেই শুরু তাঁর লড়াই। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনা চালানোর চেষ্টা করলেও পরে তার আর উপায় ছিল না। আয়ের উৎস হিসেবে ক্রিকেটকেই বেছে নিতে হয় আবেশকে।
তরুণ পেসারের কথায়, ‘‘আগে আবেগ দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু বাবার দোকান উঠে যাওয়ার পরে আমাদের আয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দু’বছর প্রচণ্ড কষ্ট করতে হয়েছে। তার পরে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলে সুযোগ পাই। রাজ্যের হয়েও খেলি। আইপিএলে খেলার পরেই জীবন পাল্টাতে শুরু করে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখনও আমি গাড়ি কিনিনি। বাড়িতে স্কুটার রয়েছে। সেটা নিয়েই রাস্তায় বেরোই। বন্ধুরা বলে গাড়ি কিনতে। কিন্তু চালাতে তো শিখিনি। এমনিতেই নিয়মিত ম্যাচ থাকার কারণে বাড়িতে বেশি থাকা হয় না। তাই আর গাড়ি কেনা হয়নি।’’
এশিয়া কাপের নেট বোলার হয়ে দুবাই যাওয়ার পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে কথা হয় আবেশের। তরুণ পেসারকে ধোনি শেখান, কী ভাবে দুবাইয়ের পরিবেশে বল ব্যবহার করতে হয়। আবেশ বলেন, ‘‘মন্থর পিচে সুইং সে ভাবে পাওয়া যায় না। তাই ধোনি ভাই আমাকে বুঝিয়েছেন কী ভাবে বিভিন্ন ভাবে সিমটাকে কাজে লাগানো যায়।’’
কিন্তু ইডেনের পিচ যে গতিময়, সেখানে কী ভাবে নিজেকে তুলে ধরবেন আবেশ? তরুণ পেসারের উত্তর, ‘‘যত পারব ব্যাটসম্যানকে খেলানোর চেষ্টা করব। গত ম্যাচে চেন্নাইয়ে বৃষ্টির জন্য দু’দলই এক পয়েন্ট করে পেয়েছে। তাই বাংলার বিরুদ্ধে এই ম্যাচ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল জায়গায় বল করে যাব। বাকি কাজ পিচ করে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy