তামিমের মতো আরও ক্রিকেটার ভারত সফর থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করছেন নাজমুল হাসান। ছবি: পিটিআই।
ভারত সফর বানচালের জন্য অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট এরই অঙ্গ বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অবশ্য ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। বিসিবি তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে আর্থিক প্যাকেজে উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর পরই নরম হয়েছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু বিসিবি প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, এখনও অনেক খেলা বাকি রয়েছে।
বাংলাদেশের দৈনিক ‘প্রথম আলো’কে নাজমুল হাসান পাপন সাফ বলেছেন, “আপনারা ভারত সফর নিয়ে এখনও কিছুই দেখেননি। শুধু অপেক্ষা করুন, দেখতে থাকুন। আমি যখন বলছি, ভারত সফরে অন্তর্ঘাতের ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে, তখন তা বিশ্বাস করা উচিত।” ভারতে এক মাস ব্যাপী সফরে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সফর শুরু হচ্ছে ৩ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে। বুধবার ৩০ অক্টোবর রাজধানীতে শাকিব আল হাসানের দল নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: টেস্টে ওপেন করাতে ঠিক কী বলেছিলেন সৌরভ? ফাঁস করলেন সহবাগ
আরও পড়ুন: পারফরম্যান্স তলানিতে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে চাপে থাকবেন ভারতের এই ত্রয়ী
কিন্তু কেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট মনে করছেন যে ভারত সফর নিয়ে সমস্যা হতে পারে? তাঁর উত্তর, “আমাকে তামিম ইকবাল প্রথমে বলেছিল যে, ও শুধু দ্বিতীয় টেস্টেই খেলবে না। তখন ওর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পর তামিম আমার ঘরে এসে বলল যে ও পুরো সফরেই খেলবে না। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন? কিন্তু তার উত্তর পাইনি। শুধু বলল যে ও যাবে না।”
তামিমের মতো যদি আর কোনও ক্রিকেটার ভারতে না আসার সিদ্ধান্ত নেন, তবে অবাক হবেন না বলে জানিয়েছেন নাজমুল। তিনি বলেছেন, “এখন যদি আর কোনও ক্রিকেটার শেষ মুহূর্তে ভারত সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, আমি অবাক হব না। আর তখন কিন্তু কিছু করার থাকবে না। আমাদের হাতে বিকল্প থাকবে না। আমি শাকিবকেও এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডেকেছিলাম। এখন ও যদি নিজেকে সরিয়ে নেয়, তা হলে আমি অধিনায়ক কোথায় পাব? আমাকে হয়ত পুরো কম্বিনেশনই পাল্টাতে হতে পারে।”
সিনিয়র ক্রিকেটাররা যে ভাবে বোর্ডের সঙ্গে দর কষাকষির খেলায় নেমেছেন, সেটাও মানতে পারছেন না নাজমুল। তাঁর কথায়, “আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। ওদের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয় আমার। কিন্তু ধর্মঘট ডাকার আগে আমাকে কেউ জানায়নি। এখন মনে হচ্ছে, ওদের আবেদন মেনে নিয়ে ভুল করেছি। এটা করা কখনই উচিত হয়নি। বলা উচিত ছিল, তোমরা ধর্মঘট না ভাঙলে, কথা বলতে বসবই না। বোর্ডের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে আমাদের এটাই করা উচিত ছিল বলে ধারণা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়াও তো আমাদের উপর চাপ তৈরি করছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy