অধিনায়কত্ব কোনও কোনও ক্রিকেটারের কাছে চাপ। আবার অনেক ক্রিকেটার অধিনায়কত্ব পেলে দারুণ খেলতে শুরু করেন। এশিয়া কাপে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা যেমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে অধিনায়কত্বটাও করছেন।
দলে বিরাট কোহালি ছিলেন না বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিতও কোনও অংশে কম নন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করার পরে ফের বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সুপার ফোরের ম্যাচে ঝলসে উঠল তাঁর ব্যাট। ‘হিটম্যান’ রোহিত এ দিন পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারলেন। প্রতিটিই নিখুঁত শট। তাঁর ১০৪ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের সৌজন্যেই বাংলাদেশের ১৭৩ রানের চ্যালেঞ্জ ৮২ বল বাকি থাকতেই টপকে গেল ভারত। জিতল সাত উইকেটে।
রান করার পাশাপাশি রোহিত এ বার অধিনায়কত্বও করছেন দারুণ। এ বারের এশিয়া কাপ হচ্ছে গরমের মধ্যে। পিচ খটখটে। ফলে সব অধিনায়কই টসে জিতে ব্যাট করছেন। কিন্তু এই ম্যাচে টসে জিতে রোহিতের ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তে অনেকে অবাক হয়েছিলেন। আসলে দুবাইয়ের উইকেটে শুরুতে বল ব্যাটে আসছে থমকে। ভারতের পেস জুটি যশপ্রীত বুমরা (৩-৩৭) ও ভুবনেশ্বর কুমার তাই (৩-৩২) উইকেট টু উইকেট বল করে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মারার জায়গা দেননি। তার পরেই জাডেজা ও দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহালের স্পিনের ফাঁদে আটকে যায় বাংলাদেশ। পঞ্চাশ ওভার মানে ৩০০ বলের খেলায় ১৯০ বলে এ দিন কোনও রান করেনি বাংলাদেশ। ‘কুল-চা’ জুটি উইকেট না পেলেও বাংলাদেশের রান বাড়তে দেননি। পাশাপাশি, ধোনিকে চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠিয়ে বিপক্ষকে চাপে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন
বেঙ্গল টাইগারদের যে জায়গাগুলিতে মাত দিল মেন ইন ব্লু
হার্দিক পাণ্ড্য চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় শাপে বর হয়েছে। কারণটা অবশ্যই প্রথম এগারোয় রবীন্দ্র জাডেজার ঢুকে পড়া। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাডেজার ব্যাট ও ফিল্ডিং নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। সঙ্গে প্রাপ্তি ওর স্পিন বোলিং। সেই বোলিং দিয়েই এ দিন দশ ওভারে ২৯ রানে চার উইকেট নিয়ে ধ্বংস করলেন বাংলাদেশ ব্যাটিংকে।
আরও পড়ুন: বলে ভেল্কি জাডেজা-ভুবির, ব্যাটে রো-হিট
জাডেজা বল করতে আসতেই শাকিব আল হাসান পর পর দুই বলে চার মেরে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন। এই সময় ধোনি দেখালেন কেন তাঁকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলা হয়। তিনি এগিয়ে এসে স্কোয়ার লেগে দাঁড় করিয়ে দিলেন শিখর ধওয়নকে। পরের বলেই ধওয়নকে ক্যাচ দিয়ে আউট শাকিব (১৭)।
তবে এই উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের দিনেও ৩৪ ওভারে ১০১-৭ থেকে বাংলাদেশ আরও ৭২ রান করে গেল। ইংল্যান্ড সফরের মতোই সেই শুরুতে ধাক্কা দিয়েও শেষ তিন উইকেট ফেলা পাহাড়প্রমাণ কাজ হয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বোলিংয়ে। এর একমাত্র কারণ আত্মতুষ্টি। দ্রুত এই সমস্যা কাটাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy