তিনি আশিস নেহরা। ক্রিকেট জীবনের একটি ভুল এখনও তাঁকে ভাবায়। সেদিন কালীন কোচের প্রস্তাব মেনে নিলে হয়তো তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের তালিকায় যুক্ত হতে পারত আরও ৩০-৩৫টি ম্যাচ। আজ এতদিন পরে এসে তা নিয়েই আফশোসের কথা শুনিয়েছেন বর্ষিয়ান এই পেসার। সেটা ২০০৯ সালের ঘটনা। নেহরা বলেন, ‘‘আমি যখন পিছন ফিরে তাকাই তখন আফশোস হয় যদি সেদিন গ্যারির বলা কথাটা মেনে নিতাম। ২০১৩তে আমি ছ’সপ্তাহে ছ’টি রঞ্জি ম্যাচ খেলেছিলান। আমি তখন বুঝতে পারি সেদিন আমার গ্যারি কথা অনুযায়ী টেস্ট ম্যাচ খেলার উপদেশ মেনে নেওয়া উচিত ছিল। তখন আমার বয়স ৩০। সেই সময় থেকে ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত চার বছর আমি খুব স্বাভাবিতভাবেই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারতাম। আমার টেস্ট ক্রিকেটের তালিকায় ৩০-৩৫টি ম্যাচ বেশি যোগ হত। কিন্তু এটাই জীবন।’’
আজ এতদিন পরে এসে সেই আফশোস বার বার ফিরে ফিরে আসে। এখনও এই ৩৮ বছর বয়সেই সেই দ্রুততার সঙ্গেই বল করেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘আমি এই বয়সেও ফার্স্ট বোলার। আমি কখনও ওই ১২৫০১২৮ কিলোমিটারে বল করিনি। এখনও নতুন বলেও আমার লক্ষ্য থাকে ১৩৮এ বল করা। স্পিড সব নয় কিন্তু যদি প্রয়োজন হয় তা হলে টি২০তে আমি ১৪০এও বল করতে পারি।’’ তবে এই বয়সেও তাঁর একই রকম একাগ্রতা। দীর্ঘদিন পর যখন জাতীয় দলে ফিরেছেন তখনও একই রকম ফিট। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পর তাই বিরাট কোহালিকেও তাঁর উপর ভরসা রাখতে হয়েছে।
আরও খবর: কাইফের শুভেচ্ছার জবাব দিলেন মোদি
কিন্তু এই বয়সে এসে নিজের সেরাটা দেওয়া কতটা চাপের?
নেহরা বলেন, ‘‘কেউ যদি বলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে গিয়ে তার কোনও চাপ হয় না তা হলে সে মিথ্যে বলছে। কিন্তু এই সময়ে এসে চাপের থেকেও বেশি দায়িত্ববোধটা কাজ করে একজন সিনিয়র হিসেবে। আমি চেষ্টা করি জুনিয়র বোলারদের সাহায্য করতে।’’ যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপের খেলার কথা এই মুহূর্তে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। একটা একটা করে বাঁধা পেড়িয়ে এগিয়ে যেতেই পছন্দ করেন তিনি। বলেন, ‘‘২০১৯ এখন অনেক দূর। অতদিন আমি খেলতে পারব না। অতদূর ভাবিওনি। এমন কী ধোনি আমার থেকে দু’বছরের ছোট হয়েও অত দূর ভাবেনি। এই মুহূর্তে আমি আইপিএল-এর প্রস্তুতি নিচ্ছি। দিল্লি বিজয় হাজারেতে যোগ্যতা অর্জন না করায় সামনে আইপিএল। তার পর অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।’’ আইপিএল-এ ছ’সপ্তাহে খেলতে হবে ১৪ ম্যাচ। এই বয়সে সেটা কঠিন হলেও নেহরার মতে, ‘‘আইপিএল-এ নিজেকে ধরে রাখার কোনও সুযোগ নেই। যত সম্ভব দ্রুত বল করার চেষ্টা করে যেতে হবে। তবে আইপিএল না আমার মাথায় রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সবটাই নির্ভর করছে আমার শরীর কী ভাবে সাড়া দেবে। যদি আমি ফিট থাকি তা হলে ১৪টি ম্যাচই খেলতে পারব। কিন্তু ৭০ শতাংশ দেওয়ার কথা ভাবি না।’’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে দলে রাখা হবে কী না সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে সব পরিস্থিতির কথা ভেবেই নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চান নেহরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy