Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

গোলাপি বলের ইডেনে জীবনের কঠিনতম ইনিংসে নামছেন অরুণ লাল

কী আশ্চর্য, একই মানুষের ডান গালে যৌবন। বাঁ গালে প্রৌঢ়ত্ব। কিন্তু তাঁর অরুণ জগদীশ লালের চেহারা এ মুহূর্তে এমনই। বাঁ গালে কয়েক ফালি সাদা দাড়ি। আর ডান গাল বিরাট কোহালির মিডব্যাটের মতো মসৃণ। আসলে ওটা মসৃণ নয়। রেডিয়েশনে ডান দিকের গালের পুরো চুল উঠে গিয়েছে।

গৌতম ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৬ ০৯:৪৯
Share: Save:

ফোটোগ্রাফার যদি ডান গালের প্রোফাইল পায় — বয়স টেনেটুনে পঁয়ত্রিশ।

যদি লেফট প্রোফাইল ক্লিক করে — একষট্টি। এখন তাঁর যা বয়স, তাই।

কী আশ্চর্য, একই মানুষের ডান গালে যৌবন। বাঁ গালে প্রৌঢ়ত্ব। কিন্তু তাঁর অরুণ জগদীশ লালের চেহারা এ মুহূর্তে এমনই। বাঁ গালে কয়েক ফালি সাদা দাড়ি। আর ডান গাল বিরাট কোহালির মিডব্যাটের মতো মসৃণ। আসলে ওটা মসৃণ নয়। রেডিয়েশনে ডান দিকের গালের পুরো চুল উঠে গিয়েছে। এ জীবনে আর গজাবে না। এখনকার অরুণ তাই দাড়ি-গোঁফহীন আপাত অজানা মানুষ।

মানুষ নাকি মস্তিষ্কের ডান দিক দিয়ে চিন্তা করে। তা চিন্তাশক্তি হারাননি অরুণ লাল। কিন্তু ডান দিকের দাঁতগুলো চিরতরের জন্য গিয়েছে। ডান দিকের নার্ভও অসাড়। আদৌ সাড় কখনও ফিরবে কি না কেউ জানে না। জিভের অর্ধেকটা কেটে প্লাস্টিক সার্জেন নতুন করে তৈরি করেছেন। সেটা এত ভারী যে কিছুতেই পুরনো স্বাচ্ছন্দ্য ফেরত পাচ্ছেন না অরুণ। গভীর ক্যান্সারাক্রান্ত তাঁকে মধ্য কলকাতার বাড়িতে দেখতে গেলে কী নেওয়া যেতে পারে? নিশ্চয়ই ফল।

আর শক্ত ফলও নয়। ইনি বাংলার ক্রিকেটের রেনেসাঁ প্রবর্তনকারী ব্যাটসম্যান গত চার মাস যাব়়ৎ কোনও সলিড খাবারই খেতে পারেন না। ঘড়ি ধরে রাত সওয়া ন’টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া সে তো খেলোয়াড় জীবনেও অল্পবিস্তর ছিল। কিন্তু রঞ্জিতে বাংলার ম্যাট্রিক ফেল করা মনোভাব বদলে দিয়ে যিনি আসুরিক জমাটভাব এনেছিলেন, তিনি জীবনে আর কখনও সলিড খাবার খেতে পারবেন? জানেন না। ক্যানস্যার কি আবার ফেরত আসবে? জানেন না। বাকি নার্ভগুলোও কি এবার আক্রান্ত এবং অসাড় হয়ে পড়বে? বুঝতে পারছেন না। আশেপাশে সব কিছুই যে গভীর অনিশ্চিত মোডে।

ডান পা জুড়ে আপাতত লম্বা ক্রেপ ব্যান্ডেজ। চলাফেরা সহজ হয়নি। হাঁটা শুরু করবেন ভাবছেন। কিন্তু জীবনের প্রিয় শখ-ই তো হারিয়ে গেল কর্কট রোগে। দৌড়তে এত ভালবাসতেন। জীবনে আর কখনও দৌড়তে পারবেন না। বিদেশ বিভুঁইয়ে ভাষ্যকার জীবন দীর্ঘায়ত করা? সেই সম্ভাবনাও মোটামুটি নিশ্চিহ্ন।

কিন্তু তিনি চিরকালের দুর্জেয় অরুণ লাল এত সহজে হাল ছেড়ে দেন কী করে? পণ করেছেন শনিবার থেকে শুরু ইডেনে চার দিনের ঐতিহাসিক গোলাপি বল ম্যাচে কমেন্ট্রি করবেন। স্টার স্পোর্টস কমেন্টেটরদের খাবার তো গলায় ঢোকানোর উপায় নেই। বাড়ি থেকে লিকুইড খাবার নিয়ে যেতে হবে। শুনতে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগছিল।

গোলাপি বল রাতের আলোয় ঠিক মতো দেখা যাবে কি না নিয়ে স্থানীয় ক্রিকেটে আপাতত যাঁরা তর্কে মত্ত, তাঁরা জানেনও না শনিবার শৌর্যের সবচেয়ে বড় কাহিনি ইডেনেই খেলা হবে। বাইশ গজে নয়।

ঊনচল্লিশ বছর পর বাংলার রঞ্জি জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা যে অরুণের ছিল, সে দলের অধিনায়কও স্বীকার করবেন। শাস্ত্রী-মনিন্দররা তখন তাঁকে ডাকতেন ‘বেঙ্গল’ বলে। বলতেন, বেঙ্গলকে আউট করো, তা হলেই বেঙ্গল টিম হেরে যাবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে হাজার হাজার রান করেও অরুণের মাত্র ১৬ টেস্ট খেলার পিছনে একমাত্র কারণ খুঁজে পান দিলীপ বেঙ্গসরকার — দুর্ভাগ্য।

ক্রিকেট জীবনে যে বরাবর দুর্ভাগা হিসেবে গণ্য হয়েছেন। ইডেনে ইমরানের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’ইনিংসে হাফসে়ঞ্চুরি করেও পরের টেস্টে গাওস্করের জায়গা তৈরির জন্য বাদ হতে হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার মুখে। আম্পায়ার রিপোর্টার হঠাৎ ভুল এলবিডব্লিউ দেন। অরুণ অস্ফুটে বলেছিলেন, ঈশ্বর আমার একটা কিন্তু পাওনা রইল। সেটা আর পাওয়া হয়নি। চণ্ডীগড়ে তো শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েও আজহারের শেষ মিনিটের সিদ্ধান্তে টেস্ট দল বাদ পড়েন। এগারো বাছা হওয়ার পর দল থেকে বাদ পড়া ভারতীয় ক্রিকেটে গত চল্লিশ বছরে ওই একবারই হয়েছে। সে দিনও বন্ধু ক্রিকেটাররা তাঁকে বলেছেন, তোর সত্যি লাক খারাপ। এমন দু’টো সিরিজ বিদেশে পুরো খেললি যার একটায় ছিল বিরাশির ইমরান। আর একটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে মার্শাল-বিশপ-গার্নার-ওয়ালশ। ভাষ্যকার সতীর্থরা অরুণকে অনেক সময় এমন মজাও করেছেন যে, লম্বা খেলিসনি তো কী, বিভীষিকা কাকে বলে সেটা তো জীবনে এক্সপেরিয়েন্স করেছিস। অরুণ শুনে হেসেছেন।

তখন কী করে জানবেন অদৃষ্ট তাঁর জন্য অচিরেই যে পরিমাণ বিভীষিকা নিয়ে অপেক্ষা করে রয়েছে তার পাশে চার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার খোকাবাবু। এ বছর শুরুর দিনও নাগপুরের কাছে পেঞ্চ জঙ্গলে অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন ওয়াইল্ড লাইফ প্রেমিক। ভাবতেই পারেননি আর এক মাসের মধ্যে পৃথিবীর গহন গহনতম অরণ্য তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলতে আসছে। বহুদিন ধরে ডান চোয়ালের কাছটা ব্যথা করছিল। প্রথমে ভাবেন দাঁত। দু’-তিনজন ডেন্টিস্টের কাছে যান। তাঁরা কিছু খুঁজে পাননি। খুঁতখুঁতে অরুণ তবু পেনকিলার খান। ব্যথা সামান্য কমে। আবার কিছুদিন পর বাড়ায় ডান দিকের কিছু দাঁত তুলে ফেলেন। তাতেও কমে না। বছর খানেক বাদে ডান দিকে ডেন্টাল ইমপ্লান্ট করান। সেই ইমপ্লান্টের সময়েও অসহ্য ব্যথা। ডাক্তার এ বার সন্দিহান হয়ে বলেন, কিছু একটা গণ্ডগোল হচ্ছে, এমআরআই করান। এই হতে হতে প্রায় তিন বছর। এর পর এমআরআই। আর এমআরআইতেও কিছু নেই। অথচ ডান চোয়ালের ব্যথা বেড়েই চলেছে। এ বার ডাক্তারি পরামর্শ আসে, কনট্রাস্ট এমআরআই করানোর।

চণ্ডীগড়ে নব্বইয়ের এক সকালে আকাশ ভেঙে পড়ার মতো একটা মন্তব্য শুনেছিলেন অরুণ। টস করে ফেরার পথে ক্যাপ্টেন আজহার তাঁকে হাতের একটা টোকা দিয়ে বলেন, সরি তুমি বাদ। চারটে স্পিনার খেলাচ্ছি। গ্যালারিতে তখন কপূরথালা থেকে ছেলের খেলা দেখতে আসা বাবা-মা। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর টোকা অবশ্য তাঁকে দিল ফেব্রুয়ারির সেই রিপোর্ট — দিস ইজ ম্যালিগন্যান্ট। অরুণ দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। গোটা শরীরে আর কোনও কষ্ট নেই। দৌড়চ্ছেন, ফিটনেস ট্রেনিং করছেন। সবচেয়ে বড় কথা সামনে কমেন্ট্রির সোনার মরসুম। ঢাকায় এশিয়া কাপ। ভারতে মিনি বিশ্বকাপ। তার পর আইপিএল। কী করবেন এখন?

দ্রুত ছোটেন ‘ডক্টর্স ত্রিবেদী অ্যান্ড রয়’-এর ডা. শুভেন্দু রায়ের কাছে। বন্ধুবান্ধবেরা কেউ কেউ অরুণকে বলছিলেন, তিন বছর যখন রোগ রয়েছে, আর দু’মাসে কী হবে? আইপিএলের পর অপারেশনটা করিয়ে নিস। অরুণও তাই ভাবছিলেন এবিপি নিউজ-সহ এতগুলো চুক্তি ছেড়ে দিলে, তাঁর লাখ লাখ টাকার ক্ষতি। অপারেশন কখন করাবেন-এর সঙ্গে আর একটা মস্ত জিজ্ঞাসা, কার কাছে করাবেন? শহরের সেরা অঙ্কোলজিস্ট কে?

শুভেন্দুবাবু বললেন, ‘‘আমার মতে এখুনি করা উচিত। আর একটা কথা। এই যে বিরল ক্যানসার হয়েছে তোমার, অ্যাডিনয়েড সিস্টিক কার্সিনোমা, তার জন্য বেস্ট ডাক্তার খুঁজো না। বেস্ট ইন্সটিটিউশন খোঁজো। এক নয়। একাধিক স্পেশ্যালিস্ট লাগবে তোমার। পাঁচ-ছ’জনের একটা টিম।’’

জাম্প কাট ৯ ফেব্রুয়ারি রাজারহাটের টাটা মেডিকেল সেন্টারের ওটি! তার বাইরে প্রতীক্ষায় ব্যক্তিগত বন্ধু ও পরিবারের খুব ছোট দল। মেয়ো কলেজের বন্ধু অধুনা বোর্ড কর্তা অমৃত মাথুর। বিজ্ঞাপন জগতের বিখ্যাত মানুষ পীযূষ পাণ্ডে। ব্যক্তিগত চিকিৎসক রাজীব শীল। পালিত পুত্র মুম্বইয়ের কর্পোরেট কর্তা বিকাশ চৌধুরী। স্ত্রী রীনা। এর মধ্যে রীনা ঘণ্টা চারেক বাদে বাড়ি ফিরে যান। বাকিদের থাকতে হয় কি না আরও এগারো ঘণ্টা। তাঁর নিজের ম্যারাথন ম্যাচ বাঁচানো ইনিংসগুলোর মতোই ম্যারাথন অপারেশন চলে চোদ্দো ঘণ্টা। ওই দীর্ঘ সময় শুয়ে বেডসোর হয়ে যায় তাঁর।

শুক্রবার অরুণ বলছিলেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি আমার অপারেশনটা যে এত কঠিন। ডাক্তাররা অপারেশনের আগে তো দিব্য হাসছিলেন। একজন বললেন, আমার ছেলের যদি ক্যানসার হতেই হত আমি বলতাম এ ধরনের হোক। যেটা অনেক সেফ। প্লাস্টিক সার্জেন ভদ্রলোক রসিকতা করলেন, ঘুম থেকে উঠে নিজের চেহারাটা কেমন দেখতে চান? কার মতো করে দেব আপনাকে? আমি বললাম, জর্জ ক্লুনি করে দিন। উনি বললেন, না আপনাকে ব্র্যাড পিট করে দেব।’’ এর পর ডান দিকের গালের মাংস সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে, পায়ের মাসল থেকে মাংস নিয়ে, ব্লাড ভেসেল নিয়ে, টিস্যু নিয়ে পুনর্স্থাপন করা হয় ডান গালে। যাকে বলে রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি।

অরুণ মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, ‘‘টাটার ডাক্তাররা অসামান্য। বলতে গেলে একটা মৃত লোককে ওঁরা নতুন শরীর দিলেন। অপারেশনের পর একটা নন-এসি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমাকে। গরমে আমাকে রাখা ছাড়া ওঁদের উপায় ছিল না। আমার শরীরে সেই রাতে চোদ্দোটা পাইপ। নিঃশ্বাস নিতে পাচ্ছি না। কথা বলতে পাচ্ছি না। অসহ্য যন্ত্রণা। মনে হচ্ছিল, আজকের রাতটাই জীবনের শেষ। আই নিউ আই ওয়াজ পসিবলি ডাইং টুনাইট। সেই সময় নিজেকে বলি, পিগি আজকের রাত্তিরটা কোনও রকমে পার করে দাও। আজ উইকেটটা দিও না।’’

উল্টো দিকে বসে অসাধারণ মর্মস্পর্শী লাগছিল এই সময় গৃহকর্তাকে। বাংলার গভীর দুঃসময়ে, অনন্ত চাপের মুখে যেমন ডান পায়ের স্পাইক দিয়ে ক্রিজে অদম্য আঁচড় কাটতেন সে ভাবেই যেন বললেন, পিগি আজকের রাত্তিরটা কোনও রকমে পার করে দাও।

স্ত্রী রীনা লাল যথাসাধ্য সঙ্গ দিয়েছেন, দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি নিজেই তো অসুস্থ। দিন কুড়ি আগে স্ট্রোক হয়েছিল। অরুণ নিজে গিয়ে বেলভিউতে ভর্তি করে আসেন। এখন বাড়িতে এনেছেন। অস্ফুটে বললেন, ‘‘আমাদের একটু টাফ টাইম যাচ্ছে। ঠিক হয়ে যাবে।’’ আপনার সেই মোহনবাগান টিমের বন্ধুরা কোথায়? প্রণব-পলাশ নন্দী, দীপঙ্কর হাজরারা?

অরুণ মাথা নাড়েন, ‘‘কাউকে যোগাযোগ করিনি। যেটুকু পারছি নিজেরাই করছি।’’ ফিরে যান অপারেশনে। ‘‘আরে যে ডাক্তাররা এত ভরসা দিচ্ছিলেন অপারেশনের পর তাঁদের দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। দু’দিন পর প্রথম যখন গলা দিয়ে লিকুইড নিতে পারলাম। ওঁরা সমবেত হাততালি দিলেন। তার মানে কী ভয়ঙ্কর! আমি যে আর খেতে পারব, ওঁরা শিওর ছিলেন না।’’

নজর আলি লেনের একতলার ড্রইংরুম কী চম়ৎকার সাজানো গোছানো। কে বলবে তার অন্তরঙ্গে গত চার মাস এ রকম লাভাস্রোত বইছে। মৃত্যুমুখ থেকে আপাতত ফিরে আসা অরুণের এখন মনে হচ্ছে জীবন কত ছোট। আর কী দারুণ। ‘‘এই যে আমরা ভাবি অমুক কমেন্টেটর এই ম্যাচে অফার পেল... আমাকে অমুক কাঠি করল। এ সব আলোচনাই কত নিরর্থক। এ সব ভাবতে গিয়ে গোটা জীবন শেষ হয়ে যায়।’’

সৌরভের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। প্রিয় বন্ধু শাস্ত্রী ফোন করেছিলেন। সবার আগে করেছিলেন যুবরাজ। অরুণ তাঁকে বলেছেন, ‘‘ম্যানেজ করে ফেলেছি যুবি, চিন্তা করিস না।’’

অসমসাহসী মনন নিয়ে একবার বলছেন, ‘‘আই অ্যাম অন দ্য টপ অফ ইট। বেরিয়ে গেছি।’’ পরমুহূর্তেই আশঙ্কায় বিপন্ন দেখাচ্ছে তাঁর মুখ। ‘‘এই ক্যানসার নাকি তিরিশ লাখে দশ জনের হয়। যে কোনও সময় ফিরতে পারে। শরীরের সব নার্ভ ধীরে ধীরে ড্যামেজ করে দেবে।’’

চেন্নাই টেস্টে ভিভ রিচার্ডসের সামনে সিলি পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যাবডমিনাল গার্ড ছাড়া। দেখে বিস্ফারিত হয়ে গিয়েছিল বঙ্গজ ক্রিকেট মহল। কিন্তু এই প্রতিদ্বন্দ্বী তো ভিভের পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়েও অনেক বিপজ্জনক।

বারবার বোঝাতে চাইলাম, এত দুর্বল শরীর নিয়ে কমেন্ট্রি করতে যাচ্ছেন কেন? চার দিনের ধকল। অরুণ শোনার পাত্রই নন। ‘‘আমাকে এখান থেকে বেরোতেই হবে। পরিস্থিতির কাছে সমর্পণ করলে হবে না।’’

শুনতে শুনতে চোখে জল এসে যায় আর মনে হতে থাকে ১৯৮৬। কী ২০১৬। কিছু কিছু সংলাপ বদলায় না। কোনও কোনও মানুষও না।

অন্য বিষয়গুলি:

Arunlal Pink Ball Eden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE