আর্সেন ওয়েঙ্গারের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন আতলেতিকো দে মাদ্রিদের স্ট্রাইকার আতোয়াঁ গ্রিজম্যান। ইউরোপা লিগে ঘরের মাঠে দশ জনের আতলেতিকো দে মাদ্রিদকেও হারাতে পারল না আর্সেনাল। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় আলেকজান্দ্রে লাকাজেতের সঙ্গে সংঘর্ষে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটি দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আতলেতিকোর রাইট ব্যাক সিমে ভ্রাসাল্কো-কে। অথচ প্রথমার্ধে সেই সুবিধে কাজে লাগাতে পারেননি মেসুত ওজিল, অ্যারন র্যামসেরা। ৬০ মিনিটে জ্যাক উইলশায়ারের ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন সেই লাকাজেত। অথচ বেশিক্ষণ গোল ধরে রাখতে পারেনি আর্সেনাল। ৮২ মিনিটে ‘গানার্স’-দের ডিফেন্সের গাফিলতিতে গোল শোধ করেন গ্রিজম্যান।
ম্যানেজারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে ঘরের মাঠে আতলেতিকোর মতো বড় দলকে হারাতে চেয়েছিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। সেই আশা পুরোটাই ম্লান করে দেয় গ্রিজম্যানের গোল। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগও নষ্ট করেছে আর্সেনাল। ম্যাচ শেষে ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘‘আমরা পরিকল্পনা অনুযাই খেলার চেষ্টা করেছি। দুই পর্বের খেলায় ১-০ এগিয়ে থাকা অত্যন্ত লাভজনক একটি ফল। কিন্তু রক্ষণের একটি ভুলের জন্যই ম্যাচের ফল বদলে গেল। এর আগে অনেক বার এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ম্যাচটি দেখলে বুঝতে পারতেন কতগুলো সুযোগ আমরা নষ্ট করেছি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে হয়তো এই ম্যাচেই ফাইনালে ওঠার রান্তা আমাদের পরিস্কার হয়ে যেত।’’
শুক্রবার অ্যানফিল্ডে ভ্রাসাল্কোকে লাল কার্ড দেখনোর পরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিয়োনে। তাঁকেও ডাগআউট থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। তবে ম্যাচ শেষে সে বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেননি সিমিয়োনে। উল্টে দলের রক্ষণের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করলেন আতলেতিকো কোচ। সিমিয়োনে বলেছেন, ‘‘শুরু থেকেই একজন ফুটবলারকে হারিয়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে হয়েছে আমাদের। ৮০ মিনিট ধরে বিপক্ষকে আটকে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। যোদ্ধার মতো খেলেছে আমার ফুটবলারেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy