মাঠে পড়ে আছেন রাসেল। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
খোঁড়াতে খোঁড়াতে যে ভাবে অন্যদের কাঁধে হাত রেখে মাঠের বাইরে বেরিয়ে গেলেন আন্দ্রে রাসেল, তা দেখে মনে পড়ে গেল কয়েক দিন আগে কেভিন পিটারসেনের মাঠ ছাড়ার দৃশ্য। কেপি আর আইপিএলে ফিরতে পারেননি। রাসেলেরও সে রকমই কিছু হল না তো? এখন এই আতঙ্কে ভুগছে কেকেআর শিবির। সোমবার রাতে তাঁকে ম্যাচের পর এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেল নাইটদের শিবির থেকে। বিরাট কোহালিকেও সেই একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল ম্যাচের পর।
সোমবার রাতে ইডেন ছাড়ার সময় রাসেলকে অবশ্য ড্রেসিংরুম থেকে হেঁটেই বেরোতে দেখা যায়। বাঁ ঊরুতে জড়ানো ‘হেভি স্ট্র্যাপ’। কেকেআর সূত্রের খবর, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে। পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, তার ঠিক নেই। তার পরের কথা আর দলের কেউ ভাবতেই পারছেন না। দলের ফিজিও অ্যান্ড্রু লিপাসকে রাসেল নিয়ে প্রশ্ন করতে তিনি এমন ভাবে এড়িয়ে গেলেন যেন ব্যাপারটা বেশ চিন্তার। বললেন, ‘‘আমি এখন কিছু বলতে পারব না, কাল দেখব।’’
দলের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে রাসেলের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনও সে ভাবে জানি না ওর ঠিক কী হয়েছে। তবে ওর যা অবস্থা দেখলাম, তা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।’’ ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে সাকিব আল হাসানও বললেন, ‘‘আমিও ঠিক বলতে পারব না ওর ঠিক কী হয়েছে। কারণ, মাঠ থেকে বেরিয়ে আমি বেশিক্ষণ ড্রেসিংরুমে থাকিনি।’’ রাসেলের ঘটনাটা নিয়ে নিয়ে যে কেকেআর শিবিরে একটা ঢাকঢাক গুড়গুড় ব্যাপার রয়েছেই, তা স্পষ্ট।
হাত ফাটল কোহালির। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
এ দিন ব্যাট করার সময় ক্রিস জর্ডনের এক ইয়র্কারে ব্যালান্স সামলাতে না পেরে পড়ে যান রাসেল। পরে ইনিংসের শুরুর দিকে তৃতীয় ওভারে ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধে বোলিং করার সময় এবং ইনিংসের একেবারে শেষে ১৯তম ওভারে বিরাট কোহালিকে বল করার সময় দু’বারই ফলো থ্রু-তে স্লিপ করে মাঠে লুটিয়ে পড়েন। প্রথমবার তাও উঠে পড়েছিলেন। পরের বার অনেকক্ষণ মাঠে শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন নাইটদের সেরা অলরাউন্ডার। তার পরই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে।
এ দিন ম্যাচের পর কোহালিকে টিম বাসে না উঠে ইডেনে অপেক্ষারত অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতে দেখা যায়। আরসিবি দলের এক কর্তা জানান, তাঁর হাতের যা অবস্থা, তাতে তিনি পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, তার ঠিক নেই। এমনিতেও স্লো ওভার রেটের জন্য তিনি পরের ম্যাচে সাসপেন্ড হতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী ৮৫ মিনিটে ইনিংস শেষ করার কথা, কিন্তু এ দিন ১০২ মিনিট লাগিয়ে দেন কোহালির বোলাররা। ম্যাচ রেফারি চিন্ময় শর্মা অবশ্য জানালেন, সময়ের ছাড়ের হিসেব কষে সত্যিই ওভার রেট স্লো হয়েছে কি না, তা মঙ্গলবারের আগে বলা যাবে না। যদি হয়, তা হলে এই নিয়ে তৃতীয়বার ওভার রেট স্লো থাকার জন্য কোহালিকে এক ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy