হাল ধরেছেন বিরাট কোহালি-অজিঙ্ক রাহানে জুটি।
অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটিই এখন জয়ের রাস্তা দেখাচ্ছে ভারতীয় শিবিরকে। শনিবার অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রানের মাথায় প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পর থেকেই ইনিংসের হাল ধরে বিরাট কোহালি-অজিঙ্ক রাহানে জুটি। প্রথম ইনিংসে বাউন্সার সামলাতে না পেরে ৯ রান করে ফিরে যান কোহালি। এ দিন দেখা গেল তিনি বাউন্সার খেলছেনই না।
২০০৪ সালে সিডনি টেস্টে একটিও কভার ড্রাইভ না মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। কারণ, আগের বেশ কয়েকটি ম্যাচে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন কিংবদন্তি। এ দিন বিরাটকে দেখা গেল বাউন্সার ছুঁয়েও দেখছেন না। কোনও বল ডাক করছেন। কোনওটি সহজেই ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই সুবাদেই ৬৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১৬৫। ৪০ রানে অপরাজিত কোহালি। রাহানে ব্যাট করছেন ৪৩ রানে। তাঁদের দাপটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ২৪১ রানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। হাতে এখনও দু’দিন রয়েছে। ভারতীয় বোলারেরা প্রথম ইনিংসে যে ছন্দে বল করেছেন তা যদি দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন, তা হলে শেই হোপদের পক্ষে এই টেস্ট ড্র করা সহজ হবে না।
এ দিকে প্রথম ইনিংসের মতোই দ্বিতীয় ইনিংসে জমে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন ওপেনার কে এল রাহুল (৩৮)। শনিবার, তৃতীয় দিনে রস্টন চেজের অফস্পিন মিডল স্টাম্প থেকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান রাহুল। রান পেলেন না চেতেশ্বর পুজারাও। ২৫ রান করে ফিরে যান তিনি। মায়াঙ্ক আগরওয়ালও ব্যর্থ (১৬)।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে একটা সময় ভাল জায়গায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার উইকেটে ১৩০ রান তুলে ফেলার পরে তাঁদের ইনিংসে ধস নামে। শেষবেলায় ইশান্তের স্পেল সামলাতে ব্যর্থ ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। ইশান্ত নিলেন ৪৩ রানে পাঁচ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি এবং রবীন্দ্র জাডেজা। একটি উইকেট যশপ্রীত বুমরার।
প্রথম ইনিংসে ভারতকে যদি ব্যাট হাতে টানেন রাহানে এবং জাডেজা, তা হলে বোলিংয়ে নায়ক অবশ্যই ইশান্ত। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন গত বছর ডিসেম্বরে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্নে। অ্যান্টিগায় আবার পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ফিরে ইশান্ত শর্মা বুঝিয়ে দিলেন, যত অভিজ্ঞতা বাড়ছে, তত তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। চার উইকেটে ১৩০ থেকে দ্বিতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দাঁড়িয়েছিল আট উইকেটে ১৮৯। ইশান্ত তুলে নেন পাঁচ উইকেট। যে সাফল্যের জন্য ইশান্ত কৃতিত্ব দিতে চান তাঁর সতীর্থ বুমরাকে।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ‘বিসিসিসিআই টিভি’-তে দলের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশান্ত বলেন, ‘‘এক দফা বৃষ্টি হওয়ার পরে বলটা ভিজে যাচ্ছিল। কোনও কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না। তখন বুমরা বলে, ক্রস সিমে বল করতে। উইকেটে বাউন্স ছিল। কৌশলটা কাজে লেগে যায়। আমার এই সাফল্যের পিছনে বুমরারও কৃতিত্ব রয়েছে।’’ এর পরে শেষ তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংকে ধাক্কা দিয়ে যান ইশান্ত।
ইশান্তের পাঁচ উইকেটের মধ্যে আবার আছে দুটো দুরন্ত কট অ্যান্ড বোল্ডও। তাঁর ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইশান্ত বলেন, ‘‘এর জন্য তোমারই কৃতিত্ব প্রাপ্য শ্রীধর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy