আই লিগ নয়, ইন্ডিয়ান সুপার লিগকেই দেশের এক নম্বর প্রতিযোগিতার মর্যাদা দিতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ফলে পরের মরসুম থেকে আইএসএল চ্যাম্পিয়নরাই সরাসরি খেলবে এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এই টুর্নামেন্টে হারলে পরে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পাবে ওই দল। যে সুযোগ এত দিন ছিল আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য নির্ধারিত। ফেডারেশন সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেই সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়বে।
শুধু তাই নয়। নতুন মরসুমে দুই লিগের সংযুক্তিকরণও হচ্ছে না। আইএসএল এবং আই লিগ হবে আলাদা ভাবেই। আই লিগ মর্যাদা হারিয়ে হয়ে যেতে পারে লিগ ওয়ান। ফেডারেশন সচিব দিল্লি থেকে ফোনে বলেই দিলেন, ‘‘যে টুনার্মেন্টে দেশের সেরা ফুটবলাররা খেলে, সেটাই তো দেশের এক নম্বর প্রতিযোগিতা হবে। জাতীয় দলে যে ফুটবলাররা খেলে, তাদের নিরানব্বই ভাগই তো আইএসএল খেলছে। কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে। দিন পনেরোর মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসে জানিয়ে দেব কোনটা দেশের এক নম্বর লিগ।’’ জানা গিয়েছে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল এখন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তিনি সময় দিলেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। ফেডারেশন সচিব বলে দেন, ‘‘এ বছর দুই লিগের সংযুক্তির কোনও সম্ভবনা নেই। পরের মরসুমে হয়তো হতে পারে। এখন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। তবে আই লিগের নাম হয়তো বদলাবে।’’ কিন্তু প্রশ্ন হল, কার্যত দ্বিতীয় ডিভিশনের মর্যাদা পাওয়া আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা এশিয়ার কোন টুনার্মেন্টে খেলবে? যা খবর, তাতে খুব বেশি হলে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। যেখানে যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে হারলেই বিদায় নিতে হবে।
আই লিগের সাত ক্লাবের বিদ্রোহী জোট দাবি তুলেছিল পরের মরসুমে ভারতীয় ফুটবলের রোড ম্যাপ কী হবে, তা জানাতে হবে ফেডারশনকে। প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল তারা। সেই সভার সময় দেওয়া নতুন করে টুনার্মেন্ট সত্ত্বেও সুপার কাপ বয়কট করেছিল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, চার্চিল ব্রাদার্স-সহ বাকি দলগুলি। এখন তাদের উপর শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শনিবার এবং রবিবারের সভার পর ঠিক হবে জরিমানা কত হবে।
আই লিগকে দেশের দ্বিতীয় টুনার্মেন্টের মর্যাদা দিলে কলকাতার দুই প্রধানের কী হবে? মোহনবাগান সচিব নির্বাচনে জিতেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের সেরা লিগেই খেলবে দল। ইস্টবেঙ্গলে চিত্রটা অবশ্য আরও জটিল। বিনিয়োগকারীরা খেলতে চান আই লিগে, ক্লাব কর্তারা চান দল খেলুক সেরা লিগে। আইএসএলে এখন খেলে ১০টি দল। তার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ‘বিড’ খোলার কথা ছিল মার্চ মাসেই। কিন্তু কলকাতার দুই প্রধানকে না পেয়ে এখন আর দল বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে না বলে খবর। ফেডারেশন সচিব বললেন, ‘‘কেউ যদি আগ্রহ দেখায়, তবেই তো বিড হবে। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটিও তো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। সাত-আট দিনের মধ্যেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy