ঐতিহাসিক: ধোনির অধিনায়কত্বে চার বিশ্বসেরার মুকুট। (উপরে) ২০০৭: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৯: টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর। (নীচে) ২০১১: ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, ২০১৩: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফাইল চিত্র।
ক্রিকেটের মাউন্ট এভারেস্টে বসে আছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বলে মনে করেন রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের হেড কোচ ধোনির সব ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী। ২০০৭-এ তরুণ অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। ২০১১ ওয়াংখেড়েতে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জেতা। দু’টো ক্ষেত্রেই কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন শাস্ত্রী। মাঠে নেমে ধোনিকে ইন্টারভিউও করেছিলেন তিনি। আবার দেখেছেন হেড কোচ হিসেবেও। মাহির বিদায়বেলায় শাস্ত্রী বলে দিলেন, ‘‘আমার মতে, ভারতীয় ক্রিকেটে কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই ধোনি। ও কারও চেয়ে দ্বিতীয় নয়।’’ শাস্ত্রীয় ভঙ্গিতে জোর দিয়ে বলে উঠছেন, ‘‘কী সব প্রাপ্তি ছেলেটার! দু’টো বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ— কী জেতেনি! ট্রফি জেতার এই সাফল্যের হার বিশ্বেও কি আর কোনও ক্যাপ্টেনের আছে?’’
ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের বিচারে কোথায় রাখা যেতে পারে ধোনিকে? দেশকে দু’টো বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেওয়া অধিনায়কের অবসরের লগ্নে এই তর্ক উঠছে। শাস্ত্রী আগেই আনন্দবাজারকে বলেছিলেন, ‘‘গাওস্কর, সচিন, কপিল, ধোনি। এই চার জন আমার মতে, ভারতের সর্বকালের সেরা প্রথম চার।’’ এ দিন যোগ করলেন, ‘‘ওই চার জনে তো থাকবেই। আরও বলতে চাই ধোনি কারও থেকেই কম নয়। কারও থেকে পিছিয়ে রাখা যাবে না ওকে।’’ ছোট শহর থেকে ধোনির উত্থানেরও বড় ভক্ত শাস্ত্রী। যে ছেলেটা এক দিন খড়গপুরে টিকিট কালেক্টরের কাজ করছিল, টেনিস বলে হেলিকপ্টার শট মারছিল, সে-ই ক্রিকেট আকাশে উড়তে চাইল এবং দেশকে বিশ্বকাপ জেতাল। এ যেন রূপকথা! বরাবর যা সকলকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। শাস্ত্রীও ব্যতিক্রম নন।
আরও পড়ুন: চিরকালের অধিনায়ক তুমি, বার্তা কোহালির
আরও পড়ুন: করোনা ভেঙে দিল ‘জুটি’, চলে গেলেন চৌহান
রঞ্জির ব্যাটিং দেখে নেভিল কার্ডাস লিখেছিলেন, ‘‘পূবের আলো।’’ শাস্ত্রী এ দিন ধোনিকে নিয়ে বললেন, ‘‘পূবের আকাশে ওঠা উজ্জ্বলতম সূর্য, যা সারা ক্রিকেট পৃথিবীতে কিরণ দিয়ে গেল।’’ ধোনির কোন গুণটা তাঁকে সব চেয়ে আকৃষ্ট করেছে? জিজ্ঞেস করায় শাস্ত্রীর জবাব, ‘‘ওর স্থিরতা এবং কখনও নিয়ন্ত্রণ না হারানো।’’ ২০১৪-তে যখন তিনি টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে চূর্ণ ভারত। কী দেখেছিলেন? ‘‘দেখেছিলাম, ও রকম প্রাণান্তকর চাপের পরিস্থিতিতেও ধোনির স্থিরতা নষ্ট হয়নি,’’ বলে দিচ্ছেন শাস্ত্রী।
ক্রিকেটার ধোনি? কত বড় তিনি? ‘‘সাদা বলের ক্রিকেট হল ধোনি ক্রিকেট। ওই ফর্ম্যাটে ওর চেয়ে বড় কেউ নয়। কিং অফ হোয়াইট বল (সাদা বলের রাজা),’’ বলে শাস্ত্রী যোগ করছেন, ‘‘এবং, কী অসামান্য জীবন দর্শন। ক্রিকেট ওর জীবনে এসেছিল, খেলল, আনন্দ দিল, চলে গেল। যে ভাবে ও ক্রিকেট খেলেছে, তার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা রয়েছে।’’ অধিনায়ক হিসেবে ধোনির প্রাপ্তি? শাস্ত্রী ফের বললেন, ‘‘কাউকে কি ওর সামনে বসানো সম্ভব?’’ ধোনির বিদায় নেওয়া? ড্রেসিংরুমে কী প্রভাব পড়বে? ‘‘এটা সচিন তেন্ডুলকরের ড্রেসিংরুম ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো,’’ মাহিকে সেলাম করে বললেন শাস্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy