রবিবার হয়ে গেল আনন্দ ক্রীড়া উৎসব। এবিপি সংস্থার কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বার্ষিক এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে উৎসাহ ছিল দেখার মতো। নজর কেড়ে নিলেন কৌশিক পাল। বাংলার ম্যাগাজ়িন বিভাগে কর্মরত কৌশিক পুরুষদের ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার বিভাগে সবার আগে শেষ করেছেন।
ময়দানের এবিপি তাঁবুতে রবিবার সকাল থেকেই প্রত্যেকের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। তার আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। পুরুষদের ১০০ মিটার দৌড়ে কৌশিক প্রথম হন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে শুভঙ্কর সেন এবং সুবীর পাল (দু’জনেই ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের)।

পুরস্কার হাতে ম্যাগাজ়িন বিভাগের কৌশিক পাল। —নিজস্ব চিত্র।
মহিলাদের ৭৫ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন অ্যাডমিশন ট্রি ডট ইনের শতাব্দী রায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনের স্বর্ণালী তালুকদার এবং রিচা রায়। পুরুষদের ৮০০ মিটার হাঁটায় প্রথম হয়েছেন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রভাত ঘোষ। দ্বিতীয় অ্যাডভার্টাইজ়িংয়ের অতনু সাঙ্গুই। তৃতীয় অডিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট এবং সেলসের কুন্তল চট্টোপাধ্যায়।

ছোটদের দৌড় প্রতিযোগিতা। —নিজস্ব চিত্র।
মহিলা কর্মীদের ‘বাস্কেট দ্য বল’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন এডিটোরিয়ালের দেবস্মিত কৃষ্ণন (চট্টোপাধ্যায়)। দ্বিতীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচারের পবিত্রা থাপা। তৃতীয় অডিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট এবং সেলসের রিমা মুখোপাধ্যায়। পুরুষদের বিভাগে প্রথম তিন স্থানে রয়েছেন অর্ণব লাহিড়ী (ফিনান্স), অমিত কুমার পলতা (ম্যানুফ্যাকচারিং) এবং অমর্ত্য দত্ত (সোর্সিং)।
মহিলাদের ‘মার্বেল অ্যান্ড স্পুন’ প্রতিযোগিতায় প্রথম নাফিজ়া খাতুন, দ্বিতীয় বৈশালী সরকার এবং তৃতীয় আনন্দবাজার অনলাইনের দেবদত্তা রায়। এ ছাড়া মহিলাদের ‘মিউজ়িক্যাল চেয়ার’ বিভাগে প্রথম মেধা মুখোপাধ্যায়, দীপান্বিতা ঘোষ এবং রিঙ্কু পাল। পুরুষদের ১০০X৪ মিটার রিলে রেসে প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং-১ এবং ম্যানুফ্যাকচারিং-২। তৃতীয় অডিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট এবং সেলস ১। পুরুষদের ‘টাগ অফ ওয়ার’-এও প্রথম এবং দ্বিতীয় যথাক্রমে ম্যানুফ্যাকচারিং-১ এবং ম্যানুফ্যাকচারিং-২। তৃতীয় তৃতীয় অডিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট এবং সেলস ১।
এ বারের আনন্দ ক্রীড়ায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল ১৮০ ডিগ্রি ভিডিয়ো বুথ এবং ইনস্ট্যান্ট ফটো বুথ। এ ছাড়া নিজস্বী তোলার জায়গা ছিল। কর্মীদের সন্তানের মনোরঞ্জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।