গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, ইতালি, উরুগুয়ে। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে যারা গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোর যুদ্ধে পৌঁছেছে, তাদের নাম কোস্টারিকা। যে দলে ব্রায়ান রুইজ, জোয়েল ক্যাম্পবেলের মতো তারকা থাকলেও সাফল্যে পিছনে উঠে আসছে অন্য একটি নাম!
ইনি মাঠে নামেন না। পরিচয় সাংবাদিক। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনিজেল বেরাহিমিই নাকি কোস্টারিকার ‘লাকি চার্ম’। একই সঙ্গে সুন্দরী সাংবাদিককে নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে বিশ্বকাপে। বিশ্ব জুড়ে প্রচারমাধ্যমের শিরোনামেও উঠে এসেছেন জেল।
তাঁর দেশ এবং তিনি দু’জনেই এখন খবরের শিরোনামে। কী ভাবে উপভোগ করছেন ব্যাপারটা? আনন্দবাজারের প্রশ্নে জেলের টুইট (স্প্যানিশ থেকে ভাষান্তর করলে যা দাঁড়ায়): ব্রাজিলে আসা আমার স্বপ্ন ছিল। এখন আমারও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, দেশেরও। ব্রাজিলে প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করছি। আর আমার দেশের কথা শুনতে চান? কোস্টারিকা শেষ ষোলোয় গিয়েছে বলে আমরা সবাই দারুণ খুশি। এখন ফল যা-ই হোক না কেন, আমাদের সেলিব্রেশন চলবেই।”
দেশের প্রতিটা ম্যাচেই জাতীয় রংয়ের জার্সিতে মাঠে উপস্থিত থাকছেন বেরাহিমি। রিয়াল মাদ্রিদের অন্ধ ভক্তের ভক্তসংখ্যাও কিন্তু ব্রাজিলে বাড়ছে। বিশেষ করে নিজের অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি টুইটারে পোস্ট করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু তাঁর দল কি বিশ্বকাপে এই ভাবে সাড়া ফেলে যাবে? প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে কোস্টারিকার প্রতিদ্বন্দ্বী বড় হেভিওয়েট না হলেও পুরো ফুটবলবিশ্ব জুড়ে গ্রিস পরিচিত ‘আন্ডারডগদের রাজা’ হিসাবে। ইউরো ২০০৪ ফাইনালে পর্তুগালকে নিজের ঘরের মাঠে হারিয়েছিল গ্রিস। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চোট ও কার্ডের সমস্যায় জর্জড়িত গ্রিস। উল্টো দিকে কোস্টারিকানরা মন ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের সুন্দর ফুটবলে। আক্রমণে ফুল ফোটাচ্ছেন, ডিফেন্সেও সমান জমাট। এখন পর্যন্ত পেনাল্টিতে ছাড়া গোল খায়নি তারা।
গ্রিসের সমস্যা, আইভরি কোস্ট ম্যাচে চোট পেয়েছেন দলের গোলরক্ষক ওরেস্তিস কারনেজিস। যে তালিকায় রয়েছেন পানাজিওটিস কোনেও। পাশাপাশি আবার লাল কার্ড দেখে খেলতে পারবেন না দলের অধিনায়ক কোস্তাস কাতসুরানিস। যাঁর জায়গায় খেলতে পারেন ইউরোজয়ী দলের সদস্য জিওর্জিওস কারাগুনিস।
বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি কোস্টারিকা-গ্রিস। এ বার দেখার গ্যালারিতে থাকা জেল বেরাহিমির জাদু কোনও কাজ করে কিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy