ক্লাবকে আই লিগ-সহ অসংখ্য ট্রফি দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে রাখা হয়নি মোহনবাগানের ১২৫ বছরের কমিটিতে। বাগানের ঘরের ছেলে হলেও ড্রেসিংরুমে তাঁর ঢোকা নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি করেছেন কর্তারা। সেপ্টেম্বরের ক্লাব নির্বাচনে তিনি দাঁড়াবেন কি না এখনও জানাননি। কিন্তু তার আগে হঠাৎ-ই কিছুটা নাটকীয়ভাবে সেই সুব্রত ভট্টাচার্য মাঠে প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেন মোহনবাগানের। সোমবার মরসুমের শুরুর ম্যাচেই সুভাষ ভৌমিকের উন্টো দিকের রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যাবে সুব্রত ভট্টাচার্যকে। টালিগঞ্জ অগ্রগামীর কোচ হিসাবে।
বুধবার টালিগঞ্জ অগ্রগামীর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুব্রতর হাতে। আর মোহনবাগানের মরসুমের প্রথম ম্যাচই তো টালিগঞ্জের বিরুদ্ধে। তবে মজার ব্যাপার, যে কোচ টালিগঞ্জকে চ্যাম্পিয়ন করে প্রিমিয়ার লিগের মূল পর্বে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন, সেই রঘু নন্দীকে নতুন কোচ সম্পর্কে কিছু জানানোই হয়নি। এমনকী রঘুকে ছাড়াই বুধবার থেকে অনুশীলনেও নেমে পড়েছেন সুব্রত। যা শুনে রঘুর কটাক্ষ, “আমাকে কোচ রাখবে না একবার বলে দিতে পারত। আর যেতাম না। আমি জানিই না যে আমার ছেলেদের নিয়ে সুব্রত অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। ছেলেদের অনেকেই তাই অনুশীলনের পর ফোন করে জানতে চেয়েছে আমি কোথায়? এ ভাবে অপমান করার কী ছিল? একটা টিমকে ১৫ ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন করার পুরস্কার যে এত সম্মানজনক হতে পারে, ভাবতে পারিনি!”
রঘুকে যে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সেটা অবশ্য মানতে নারাজ টালিগঞ্জ কর্তারা। ক্লাবের প্রধান কর্তা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বিস্ময়কর দাবি, “এ রকম কোনও খবর আমার জানা নেই। এখনও পর্যন্ত আমাদের কোচ রঘু নন্দী-ই আছেন।” তা হলে কি অরূপবাবুর অজান্তেই রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে নেমে পড়েছেন সুব্রত? বিতর্কের ঝড় থামাতে ময়দানের ‘বাবলু’ বলে দিলেন, “টালিগঞ্জ অগ্রগামী থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু এখনও কিছু ঠিক করিনি। আমি বুধবার শুধু অনুশীলন দেখতে গিয়েছিলাম। কোচিং করাতে নয়।”
মাঠে নামা সত্ত্বেও তিনি যে কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন মানেননি সুব্রত। তবে ফুটবলাররা অনেকেই জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালেও রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করাবেন তিনি। সে রকমই বলে দেওয়া হয়েছে। কর্তারা চাইছেন, বিতর্ক এড়াতে রঘু এবং সুব্রত দুজনকেই রাখতে। রঘু অবশ্য সুব্রতর সঙ্গে কাজ করতে রাজি নন। “আমি যখন একটা টিমকে একা চ্যাম্পিয়ন করতে পারি, তখন সেই টিমটাকে একা প্রিমিয়ার লিগেও কোচিং করাতে পারব। তা হলে অকারণে অন্য কোনও কোচের নীচে কাজ করব কেন? সুব্রত ভট্টাচার্যের জায়গায় অন্য কেউ হলেও করতাম না। আমি ঠিক করেছি আর টালিগঞ্জের অনুশীলনে যাব না,” বলছিলেন অভিমানী রঘু। ফলে নতুন মরসুমে প্রথম বল গড়ানোর আগেই জমজমাট ময়দান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy