অলিম্পিয়ান শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারের প্র্যাকটিসের জন্য আনা ইলেকট্রনিক টার্গেট ফের নষ্ট করে দেওয়া হল। চার দিন পরই দিল্লিতে এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়াল। তার আগে এই ঘটনায় হতাশ জয়দীপ। পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান তিনি।
শনিবার সকালে নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাবে প্র্যাকটিস করতে গিয়ে জয়দীপ দেখেন সুইৎজারল্যান্ড থেকে আনা ইলেকট্রনিক টার্গেটটি কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তার পরই তিনি পুলিশকে খবর দেন। এই ব্যাপারে জয়দীপের বক্তব্য, “আগেও এক বার এই ইলেকট্রনিক টার্গেট নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। সে বার যেমন সামনে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল। এ বারও সামনে অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমস ট্রায়াল রয়েছে। মনে হচ্ছে কেউ আমার ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়েই এগুলো করছে।” জয়দীপের ধারণা ক্লাবেরই কেউ এই কাজ করেছে। তাঁর বক্তব্য, “কারও নাম তো বলতে পারব না। তবে ক্লাবের ভিতরের কেউই এই কাজ করেছে বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশও তো প্রথামিক তদন্তের পর তাই বলেছে। উল্টোডাঙা থানায় এফআইআর-ও করেছি। দেখা যাক কী হয়।”
যে নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাবে প্র্যাকটিস করেই তাঁর অলিম্পিয়ান হয়ে ওঠা, সেই ক্লাবে এমন ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই হতাশ জয়দীপ বলেন, “এ রকম হলে তো আর ক্লাবে প্র্যাকটিসই করা যাবে না। যেখানে প্রতি দিন আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে, সেখানে কী করে প্র্যাকটিস করব? সোমবার ট্রায়ালের জন্য দিল্লি যাচ্ছি। ফিরে এসে এই ব্যাপারে ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” কয়েক মাস আগেই তরুণী শুটার মাম্পি দাস তাঁকে প্র্যাকটিস করতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ক্লাবের বিরুদ্ধে। এ বার জয়দীপের এই অভিযোগ। এই ব্যাপারে ক্লাবের যুগ্মসচিব দীপেন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও অপর যুগ্মসচিব দেবরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “জয়দীপের কাছ থেকেই ঘটনাটার কথা শুনলাম। ও পুলিশের কাছেও জানিয়েছে শুনলাম। ভাল করেছে। ক্লাবে কেন এটা বারবার ঘটছে, কারা ঘটাচ্ছে, এ সব সামনে আসা দরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy