Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

ইউরোপের পথে মণীশ-ইজরায়েল

মহম্মদ সেলিমের পর দীর্ঘ দিন বাদে ভাইচুং ভুটিয়া গিয়েছিলেন। সুনীল ছেত্রী, সুব্রত পালরা যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ভারতীয় তারকারা চেষ্টা করলেই বিদেশের ক্লাবে খেলতে পারেন। কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম নামী তারকারাও তো এ বার বিদেশের পথে। এ বছরই সবাইকে চমকে দিয়ে ইউরোপের ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলে ফেললেন ইস্টবেঙ্গল কিপার গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু। মঙ্গলবার যেটা হল তা আরও চমকপ্রদ। কলকাতার ক্লাব থেকে ব্রাত্য দুই ফুটবলার মণীশ মৈথানি আর ইজরায়েল গুরুং খেলতে চললেন ইউরোপে।

মণীশ (বাঁ দিকে)  ও ইজরায়েল। যাঁদের দিকে এ বার নজর।

মণীশ (বাঁ দিকে) ও ইজরায়েল। যাঁদের দিকে এ বার নজর।

সোহম দে
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৩
Share: Save:

মহম্মদ সেলিমের পর দীর্ঘ দিন বাদে ভাইচুং ভুটিয়া গিয়েছিলেন। সুনীল ছেত্রী, সুব্রত পালরা যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ভারতীয় তারকারা চেষ্টা করলেই বিদেশের ক্লাবে খেলতে পারেন। কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম নামী তারকারাও তো এ বার বিদেশের পথে।

এ বছরই সবাইকে চমকে দিয়ে ইউরোপের ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলে ফেললেন ইস্টবেঙ্গল কিপার গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু। মঙ্গলবার যেটা হল তা আরও চমকপ্রদ। কলকাতার ক্লাব থেকে ব্রাত্য দুই ফুটবলার মণীশ মৈথানি আর ইজরায়েল গুরুং খেলতে চললেন ইউরোপে। যে সে দেশে নয়, ফিগো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ পর্তুগালে। তা-ও আবার প্রথম ডিভিশনের ক্লাব ভিটোরিয়া দে গুইমারেজের ‘বি’ দলে।

পর্তুগিজ ফুটবল ক্লাবের দরজা প্রথম খুলেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। খেলেছিলেন স্পোর্টিং লিসবনের ‘বি’ দলে। এ বার ভিটোরিয়ার বি দলে খেলবেন দুই ভারতীয়। পাঁচ মাসের চুক্তি সই করতে চলেছেন তাঁরা। ভিসার আবেদন করে দিয়েছেন মণীশ এবং ইজরায়েল। জানিয়ে দিলেন, ভিসা পেলেই চলে যাবেন পর্তুগালে। “পর্তুগিজ লিগ খুব উচ্চমানের। রোনাল্ডো, ফিগোর মতো ফুটবলাররা খেলেছে এখানে। পুরো ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে,” ফোনে বলছিলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন মণীশ। আইলিগের নতুন দল ভারত এফসির প্রস্তাব থাকলেও, ইউরোপে খেলতে চাইতেন বাগানের বাতিল মিডিও। বলছিলেন “অনেক ভারতীয় ফুটবলাররা খেলেছে ইউরোপে। ভিটোরিয়ার মতো একটা ভাল ক্লাবের সঙ্গে থাকলে এবং খেলতে পারলে আরও উন্নতি করব।”

হঠাত্‌ কোথা থেকে পেলেন এই প্রস্তাব? মণীশ বলেন, “আমার ভিডিও দেখে হয়তো ওদের পছন্দ হয়েছে। তার পরেই ফোনে এবং মেলে কথা বলি। ভিসা পেয়ে গেলেই চলে যাব পর্তুগালে।” আইসএলের পর ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে ফেলেছে আগ্রহ বেড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, সেই কথা মানছেন মণীশও। “আমার মনে হয় আইএসএল ভারতীয় ফুটবলকে সাহায্যই করবে। সব বড় বড় ফুটবলের দেশগুলোর নজর পড়েছে ভারতে,” বলছিলেন এফ সি পুণে সিটির হয়ে আইএসএলে খেলা মণীশ।

মণীশ ও ইজরায়েল যে ক্লাবের হয়ে খেলতে চলেছেন সেই ভিটোরিয়ার ‘এ’ দল চলতি মরসুমে পর্তুগিজ লিগে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ভারতীয় ফুটবলে বর্তমানে সেরা তরুণ তারকাদের মধ্যে ধরা হচ্ছে ইজরায়েলকে। পর্তুগালে গিয়ে ভাল খেলবেন আশা করছেন ইজরায়েল। “যে কোনও ফুটবলারই স্বপ্ন দেখে ইউরোপে খেলার। আশা করছি অনেক কিছু শিখতে পারব।” বলছিলেন মহমেডানের প্রাক্তন ফুটবলার। পর্তুগিজ ফুটবল নিয়ে ইতিমধ্যেই পড়াশুনো শুরু করে দিয়েছেন তিনি। “আমি এখন থেকেই ইন্টারনেটে দেখছি পর্তুগালের খেলার স্টাইলটা কেমন। বেনফিকা, এফসি পোর্তোর মতো সেরা দলগুলোর খেলা অনেক বার দেখেছি।” শুধু উন্নতি করা নয়। ইজরায়েলের লক্ষ্য প্রথম দলে খেলাও। “এফসি পুণে সিটির হয়ে ইতালিতে গিয়েছিলাম। প্রাক্ মরসুমে অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইউরোপিয়ান ফুটবল কী রকম ঘরানার। আমার লক্ষ্য হবে ভাল খেলে প্রথম দলে নিয়মিত হওয়া। সেটা করতেই যাচ্ছি।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আইএসএলে ভাল খেলার চেষ্টা করেছি। সবাই দেখেছে আমি কী রকম খেলি।”

সুনীল-সুব্রত দু’জনই বিদেশে গিয়ে সফল হননি। গুরপ্রীত চেষ্টা করছেন। দেখার মণীশ এবং ইজরায়েল কতটা সফল হন ইউরোপে খেলার ঝুঁকি নিয়ে?

অন্য বিষয়গুলি:

manish israel soham de europe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy