মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন? নিয়মিত সেক্সের সঙ্গে খেয়াল নজর দিন ডায়েটের দিকে। জেনে নিন ডায়েটে ঠিক কী ধরনের খাবার রাখলে আপনার প্রেগন্যান্ট হওয়া সহজ হবে।
১। কাবলি চানা- সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়ায় কাবলি চানা। অ্যানিমাল প্রোটিনের বদলে ডায়েটে ডাল, ছোলা, বিন, পনির জাতীয় প্রোটিন রাখুন। এতে প্রেগন্যান্ট হওয়া সহজ হবে।
২। আটার রুটি- লাল আটার রুটি বা ব্রাউন ব্রেড রক্তে সুগারের মাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ইনসুলিন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রেগন্যান্ট হতে চাইলে সাদা ভাতের বদলে খান ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, ময়দার রুটির বদলে খান লাল আটার রুটি।
৩। সবুজ শাক সবজি- পালং শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি জাতীয় সবজি খান। এতে রয়েছে ফোলেট। এগুলো খেলে শুধু প্রেগন্যান্ট হওয়া সহজ হয় তা নয়, এতে স্পার্মের মান ভাল হয়। গর্ভস্থ শিশুর জেনেটিক সমস্যার ঝুঁকিও কমে।
৪। সামুদ্রিক মাছ- সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা রিপ্রোডাকটিভ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে জননাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। অন্যান্য ফ্যাটি মাছের থেকে সামুদ্রিক মাছে পারদের পরিমাণ কম থাকায় সন্তান ধারণে সাহায্য করে সামুদ্রিক মাছ।
৫। কুমড়োর বীজ- যদি মা হতে চান তবে কুমড়োর বীজ টোস্ট করে স্ন্যাক্স হিসেবে খান। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। যা প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
৬। অলিভ অয়েল- অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মা হতে চাইলে সালাডে মেশান অলিভ অয়েল বা বালসেমিক ভিনিগার। রান্না করুন অলিভ অয়েলে।
৭। আইস ক্রিম- প্রতি দিন যদি হোল মিল্ক বা হোল মিল্ক প্রডাক্ট খান তাহলে মা হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই বাড়বে। তবে লো ফ্যাট অইসক্রিম নয়। মনে ভরে আইস ক্রিম খান এই সময়।
৮। ট্রান্স ফ্যাট- ট্রান্স ফ্যাট এই সময় অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। ফ্রায়েড ফুড, প্রসেসড ফুড খেলে ওভিউলেশনে সমস্যা দেখা দেবে।
পড়ুন মা হওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে দেয় আইকিউ, দাবি গবেষণায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy