শহরাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে আগেই কড়াকড়ি চালু করেছিল রাজ্য। এ বার সেই বিধি চালু করা হচ্ছে গ্রামাঞ্চলেও। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষ সচিব রাজ্যের সব জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে এই বিধি রূপায়ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মোবাইল টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা থেকে নানা ধরনের রোগ ছড়াতে পারে, এমন আশঙ্কা অনেকেই করেন। তা নিয়ে দেশ জুড়ে বিভিন্ন মহলে কথাও উঠেছে। সে-কথা মাথায় রেখেই যত্রতত্র টাওয়ার বসানোর উপরে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে কেন্দ্রীয় টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রক। মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রাও আন্তর্জাতিক মানের থেকে অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধের এই কড়াকড়ি ইতিমধ্যেই শহরাঞ্চলে জারি করা হয়েছে। ফলে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে অনেকটা লাগাম টানা গিয়েছে বলে সরকারের দাবি। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, গ্রামে এই বিধিনিষেধ না-থাকায় সেখানে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার বসানো হচ্ছে। তাতে লাগাম টানতেই গ্রামাঞ্চলেও ওই বিধিনিষেধ রূপায়ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা।
কী রয়েছে ওই নির্দেশে? গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে বলা হয়েছে, টাওয়ার বসানোর আগে টেলিকম মন্ত্রকের অধীন ‘টার্ম সেল’ ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। বিকিরণের মাত্রা ছাড়াও টাওয়ারের উচ্চতা, অবস্থান নির্দিষ্ট করা থাকে সেই ছাড়পত্রে। সেই অনুযায়ী টাওয়ার বসানোটাই বিধি। শহরে এই বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলা হলেও এত দিন গ্রামাঞ্চলে তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক ছিল না। অবশেষে পঞ্চায়েত এলাকাতেও এই বিধিনিষেধ কড়া ভাবে প্রয়োগ করা হবে। বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার সঙ্গে সঙ্গে টাওয়ার বসানোর আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থার লাইসেন্স এবং দমকল ও পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র যাচাই করে নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy