প্রতীকী ছবি।
মানব দেহকোষেই থাকা দুই ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’-এর হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম। তাদের নাম ‘বিলিরুবিন’ ও ‘বিলিভার্ডিন’। এরাই মানব দেহকোষের প্রতিরোধী ব্যবস্থার অ্যান্টিবডিগুলিকে বাধা দিচ্ছে হানাদার সার্স-কভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে।
‘ফাইজার’ ও ‘মডার্না’র বানানো মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) কোভিড টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও কেন মানব দেহকোষের প্রতিরোধী ব্যবস্থায় গড়ে ওঠা অ্যান্টিবডিগুলিকে ধোঁকা দিতে পারছে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের কয়েকটি রূপ (‘ভেরিয়্যান্ট’), ওই দু’টি টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়ার পরেও কেন পুনর্সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে, সেই রহস্যভেদে এই আবিষ্কার অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ। বৃহস্পতিবার।
মানব দেহকোষের প্রতিরোধী ব্যবস্থার অ্যান্টিবডি (বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন অণু)-গুলির কাজটাই হল বাইরে থেকে ঢুকে পড়া বিভিন্ন রকমের ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের হানাদারি রোখা। সেটা করতে গিয়ে বিভিন্ন হানাদার ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার মতলববাজ প্রোটিনগুলিকে বেঁধে ফেলে মানব দেহকোষের প্রতিরোধী ব্যবস্থার অ্যান্টিবডিগুলি। হানাদারদের মতলববাজ প্রোটিনগুলি সব সময়ই চেষ্টা করে নিজেদের দ্রুত বদলে ফেলে মানব দেহকোষের প্রতিরোধী ব্যবস্থার অ্যান্টিবডিগুলিকে ধোঁকা দিতে। যাতে তারা কোনও বাধা না সৃষ্টি করতে পারে ভাইরাসের সংক্রমণে।
সে জন্যই টিকা দেওয়া হয়। যাতে মানবদেহে আরও দক্ষ অ্যান্টিবডি তৈরি করানো যায়। কিন্তু তার পরেও যে সার্স-কভ-২ ভাইরাস অ্যান্টিবডিগুলিকে ধোঁকা দিয়ে পুনর্সংক্রমণ ঘটাচ্ছে তার কারণ মানব দেহকোষে থাকা দু’টি প্রোটিন- বিলিরুবিন ও বিলিভার্ডিন, জানিয়েছেন গবেষকদলের সদস্য ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউট, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন ও কিংস কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy