ব্যাক্টিরিয়ার হানা মহাকাশেও!
পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (আইএসএস)-এ মিলল ব্যাক্টিরিয়া। নাসার বিজ্ঞানীদের কথায়, ‘‘এ ধরনের ব্যাক্টিরিয়া অফিসে পাওয়া যায়। কিন্তু তা কী ভাবে ওখানে এল, জানা দরকার। তাতে ভবিষ্যতে দীর্ঘ মহাকাশ সফরের সময়ে বা সেখানে থাকতে হলে, আগাম নিরাপত্তা নেওয়া যাবে।’’ বিপজ্জনক ব্যাক্টিরিয়া প্রায়শই রোগভোগের কারণ হয়। তা থেকে বাঁচতে হলে তাই আগাম সতর্কতা প্রয়োজন। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের গবেষক কস্তুরী বেঙ্কটেশ্বরনের কথায়, ‘‘মহাকাশ সফরে যাওয়া নভশ্চরদের নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। তা ছাড়া পৃথিবীর মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা তো ওখানে নেই।’’
দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে আইএসএস-এর বিভিন্ন জায়গা, যেমন জানলা, শৌচাগার, খাবার টেবিল, শোওয়ার ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ‘কালচার টেকনিক’ ও ‘জিন সিকোয়েন্সিং’ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রকৃতি বিচার করা হচ্ছে। মহাকাশে ওই ব্যাক্টিরিয়ার চরিত্র বদল হয়েছে কি না, তা-ও লক্ষ করা হয়েছে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ব্যাক্টিরিয়াগুলি মূলত মনুষ্য-সমাজে পরিচিত, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ব্যাসিলাস ইত্যাদি। স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস যেমন মানুষের ত্বক, নাকে থাকে। এনটেরোব্যাকটর থাকে অন্ত্রে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘‘জিম, অফিস, হাসপাতালে যে ধরনের ব্যাক্টিরিয়া থাকে, আইএসএস-এ সেগুলোই রয়েছে।’’ অর্থাৎ কি না সুযোগ বুঝে নভশ্চরদের সঙ্গে মহাকাশযাত্রা করে ফেলেছে তারাও। এখন, ওই সব ব্যাক্টিরিয়ার হানায় নভশ্চরেরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন কি না, তা অজানাই। কারণ মহাকাশে ব্যাক্টিরিয়া কেমন (কতটা সক্রিয়) আছে, তা জানা নেই। পরবর্তী গবেষণায় সেটাই চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy