স্পেস-এক্স রকেটের ধ্বংসাবশেষ। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
শোনা গেল বিস্ফোরণের শব্দ। তার পরেই আকাশ থেকে নেমে আসতে দেখা গেল রাশি রাশি আগুনের গোলা। উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উপরের আকাশে।
আমেরিকার সিয়াট্লে যাঁদের চোখে পড়েছিল ঘটনায়, তাঁরা সকলেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। ভয়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন কোনও উল্কাপিণ্ড ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। তাই হয়তো আকাশ থেকে নেমে আসছে রাশি রাশি আগুনের গোলা। গত ২৫ মার্চ রাতের ঘটনা। তার পর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সমাজমাধ্যমে। একের পর এক পোস্টে ভেসে যায় ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য পরে জানান, না এটা কোনও উল্কাপিণ্ড ছিল না। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস)’ পরে টুইট করে বলেছে, ‘সিয়াট্লে রাতের আকাশে যে রাশি রাশি আগুনের গোলা আকাশ থেকে নেমে আসতে দেখা গিয়েছে সেগুলি আদতে স্পেস-এক্স-এর ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের ধ্বংসাবশেষ’। টুইটে এও জানানো হয়েছে, আকাশে ওই আগুনের গোলাগুলিকে উজ্জ্বল উল্কাপিণ্ডের মতো লাগছিল বটে, কিন্তু আদতে তা নয়। কারণ, বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আরও অনেক বেশি গতিবেগে নীচে নেমে আসে উল্কাপিণ্ড। সিয়াট্লের ঘটনায় তা হয়নি। রাশি রাশি আগুনের গোলাকে ধীরে ধীরে নামতে দেখা গিয়েছে।
অনেকগুলি উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানোর জন্য গত ৪ মার্চ ফ্যালকন-৯ রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস-এক্স। ফ্যালকন-৯ রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি ইঞ্জিন থাকে। উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করার পর এই পর্যায়ের আর কোনও কাজ থাকে না। তখন তা হয়ে পড়ে মহাকাশের আবর্জনা বা ‘স্পেস জাঙ্ক’। সেগুলিই পরে পৃথিবীর দিকে নেমে আসতে গেলে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তাতেই তৈরি হয় রাশি রাশি আগুনের গোলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy