সৌরজগতের গ্রহগুলি গ্যাস ও ধুলোর যে চাকতি থেকে জন্ম নিয়েছিল, সেই চাকতির অবশিষ্ট অংশটি এখনও রয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি কিলোমিটার দূরে। সেই বলয়ের মতো স্থানটি প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি কিলোমিটার বিস্তৃত। কুইপার বেল্ট হল ডোনাট আকৃতির একটি ঠান্ডা অঞ্চল, যা নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে থেকে সৌরজগতকে প্রদক্ষিণ করে।
শুধু বামন গ্রহই নয়, তার যমজও রয়েছে এই বেল্টে। এই বামন গ্রহটির নাম শ্যারন দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ঘন অন্ধকার, হিমায়িত এই এলাকায় রয়েছে প্লুটোর মতো বেশ কয়েকটি টিএনও বা ‘ট্রান্স-নেপচুনিয়ান অবজেক্ট’। ‘ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু’ হল সৌরজগতের যে কোনও ক্ষুদ্র গ্রহ, যা নেপচুনের চেয়ে বেশি গড় দূরত্বে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওই গ্রহটির নাম দেওয়া হয় ‘এরিস’। তার পরেই ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান মণ্ডল’ বা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়ন’-এর সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, প্লুটোকে আর গ্রহ বলা যাবে না। এরিসকেও নয়। পরবর্তী কালে ‘হাউমিয়া’ এবং ‘মেকমেক’ নাম আরও দু’টি বামন গ্রহের সন্ধান পান মহাকাশ গবেষকেরা।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি থেকে প্রায় ১ থেকে ৫ মাইক্রন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকগুলি বেরিয়ে শত শত বা হাজার হাজার পৃথক রঙে বিভক্ত হয়ে যায়। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এই রংগুলির আপেক্ষিক উজ্জ্বলতা হল একটি বর্ণালি। বিভিন্ন পদার্থের উপর সেই আলো পড়লে তা থেকে বিভিন্ন বর্ণালি দেখা যায়। এগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে সেই বস্তুর গঠন শনাক্ত করতে সহায়তা করে টেলিস্কোপের নিয়ার ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ যন্ত্রটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy