মঙ্গলের গায়ে এই রেখাগুলি জলের রেখা নয়? ছবি-নাসা।
মঙ্গলের ‘গালি’ এলাকাগুলোতে যে দাগগুলি রয়েছে বা এখনও গজিয়ে উঠছে, খুব সম্ভবত সেগুলি জলের স্রোতের জন্য তৈরি হয়নি। নাসার মহাকাশযান ‘মার্স রিকনাইসেন্স অরবিটার’ (এমআরও)-এর পাঠানো তথ্যাদি তেমনটাই জানাচ্ছে। এর আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, জলের স্রোতের জন্যই ওই দাগগুলি তৈরি হয়েছে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের বরফই ওই ‘গালি’ এলাকগুলো বানাতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।
কোন কোন অঞ্চলগুলিকে মঙ্গলের ‘গালি’ এলাকা বলেন বিজ্ঞানীরা?
মঙ্গলের পিঠে যে সব এলাকায় একই সঙ্গে তিন রকমের গঠন দেখা যায়, সেই সব এলাকাগুলিকেই বলা হয় ‘গালি’। ওই এলাকাগুলির চেহারায় তিন রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওপরটায় রয়েছে একটা চোরা কুঠুরি, কোনও তরল বয়ে যাওয়ার পথ (চ্যানেল) আর নীচে জমে রয়েছে থিতিয়ে পড়া পদার্থগুলি। এই ‘গালি’ ছাড়াও মঙ্গলের পিঠে আরও এক ধরনের এলাকা রয়েছে, যেগুলিকে বলা হয় ‘স্ট্রিক্স’। মানে, ডোরাকাটা বা আঁকাবাঁকা দাগ। ওই ‘স্ট্রিক্স’গুলোকে ‘রেকারিং স্লোপ লাইনি’ (আরএসএল)-ও বলা হয়। ওই ‘স্ট্রিক্স’গুলো আদতে ভিজে লবণ দিয়েই তৈরি হয়েছে। তার মানে, কোনও কালে (হয়তো এখনও) ওই ‘স্ট্রিক্স’ এলাকায় জল বইত মঙ্গল গ্রহে। কিন্তু,‘গালি’ এলাকার দাগগুলিকে যে জলের প্রবাহ-পথ বলে মনে করা হয়েছিল, নাসার মহাকাশযান ‘এমআরও’-র পাঠানো তথ্যাদি তাকে সমর্থন করেনি। বরং কার্বন ডাই-অক্সাইডের বরফই ওই ‘গালি’ এলাকার গঠনে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
‘এমআরও’-র পাঠানো তথ্যাদির ভিত্তিতে গবেষণাটি চালিয়েছেন মেরিল্যান্ডে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির (এপিএল) গবেষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy