রবিবার মধ্যরাতের আকাশে দেখা যাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় আকারের চাঁদ। পরিভাষায় যাকে বলে ‘সুপারমুন’। এটাই এ বছরের প্রথম ‘সুপারমুন’।

নাসার একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সময় রবিবার রাত ১২টা ১৮ মিনিটে কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে চাঁদ। তার ফলে তা আমাদের চোখে হয়ে যাবে ‘সুপারমুন’। ওই সময় পৃথিবীর দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী চাঁদ আর সূর্য থাকবে একে অন্যের ঠিক বিপরীতে।

নাসা এও জানিয়েছে, রাতের আকাশে বেশ বড় আকারের চাঁদ দেখতে পাওয়ার সুযোগ মিলবে এ বার টানা ৩ দিন ধরে। শনিবার (২৭ মার্চ) গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত। এমন বড় আকারের চাঁদের নাম ‘সুপারমুন’ দেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে।

নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ বছরে ৪টি ‘সুপারমুন’ হবে। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন ৩টি ‘সুপারমুন’ হবে এপ্রিল ও মে, দু’মাসে। আবার কেউ বলছেন, আক্ষরিক অর্থেই যাকে ‘সুপারমুন’ বলা হয় এপ্রিল ও মে মাসে তা হবে ২টি।

নাসার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এপ্রিলে পূর্ণিমার দিন (২৬ এপ্রিল)-এর থেকে পৃথিবীর বেশি কাছাকাছি চাঁদ আসবে মে মাসের পূর্ণিমার দিন (২৬ মে)-টিতে। যদিও সে ক্ষেত্রে মে মাসের পূর্ণিমার চাঁদ আকারে মাত্র ০.০৪ শতাংশ বড় হবে এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে।’’

মার্চের এই ‘সুপারমুন’-কে ‘ওয়ার্ম মুন’ও বলা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই সময়ের ‘সুপারমুন’-এর নাম দিয়েছিলেন ‘ওয়ার্ম মুন’, গত শতাব্দীর তিনের দশকে। এই সময় খুব কেঁচো দেখতে পাওয়া যায় বলে।