ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন। বুধবার বেঙ্গালুরুতে, সাংবাদিক সম্মেলনে। ছবি- এএফপি।
২০২০ কার্যত একটি ‘সোনার বছর’ ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে। এই বছরেই আমরা নামব চাঁদের মাটিতে। ‘চন্দ্রযান-৩’ অভিযানে। কোনও মহাকাশচারী ছাড়া এ বছরই প্রথম মহড়া হবে ‘গগনযান’-এর। হবে মোট ২৫টিরও বেশি মহাকাশ অভিযান।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান কে শিবন বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
শিবন জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য এই বছরই ফের রওনা হবে একটি চন্দ্রযান (চন্দ্রযান-৩)। তাতে প্রোপালসান মডিউলের সঙ্গে থাকবে একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার। এ ব্যাপারে সরকারি অর্থবরাদ্দও হয়ে গিয়েছে। তবে সেই ল্যান্ডার ও রোভারের নামকরণ হয়নি এখনও।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার সময় ভেঙে পড়ে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তার পেটের ভিতরে রাখা ছিল রোভার ‘প্রজ্ঞান’।
গগনযান ও চন্দ্রযান-৩-এর মডেল। ছবি- ইসরোর সৌজন্যে।
ইসরো চেয়ারম্যান এ দিন এও জানিয়েছেন, মহাকাশে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী পাঠানোর প্রকল্পও (গগনযান) অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। সম্ভাব্য মহাকাশচারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৪ জনকে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের পাঠানো হচ্ছে রাশিয়ায়। ‘গগনযান’-এর বেশ কয়েকটি মহড়া হবে এ বছরেই। ২০২০-তে ২৫টিরও বেশি মহাকাশ অভিযানের লক্ষ্য রয়েছে ইসরোর।
শুধু তাই নয়, দেশের দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর (স্পেস পোর্ট) বানানোর জন্য এই বছরেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। তামিলনাড়ুর থুতুকুড়িতে তা করার কথা ভাবা হয়েছে। এখন একটিই স্পেস পোর্ট রয়েছে ভারতে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy