প্রতীকী ছবি।
চন্দ্রযানে যদি দরকারি পাঁচটি জিনিস পাঠাতে হয়, তার তালিকা কী হবে? চন্দ্রাভিযান নিয়ে প্রচারের ফাঁকে টুইটারে মজা করে এটুকুই জানতে চেয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। তার জবাবেই টুইটারে উঠে এল এক বিরাট তালিকা!
কী নেই সেই তালিকায়! কেউ বললেন, দেশের একটুখানি মাটি পাঠাতে চান। এক ঘটি গঙ্গাজল পাঠানোর কথা বললেন কেউ কেউ। কেউ জানাচ্ছেন, জাতীয় পতাকা নিয়ে যেতেই হবে। কেউ আবার চাঁদের মাটিতে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা প্ল্যাকার্ড পোঁতার কথা বলেছেন! স্তুতি নামে এক মহিলা চান, জাতীয় পতাকা, গঙ্গাজলের সঙ্গে থাকুক ত্রিশূলও!
যা দেখে কেউ কেউ টিপ্পনী কাটছেন, মহাকাশ বিজ্ঞানের টুইটেও ‘ধর্মীয় এবং উগ্র জাতীয়তাবাদ’ উগরে দিচ্ছেন নাগরিকদের একাংশ।
চাঁদের প্যাঁটরা • জাতীয় পতাকা • দেশের মাটি • জয় শ্রীরাম লেখা প্ল্যাকার্ড • গাছের বীজ • গঙ্গাজল • বিক্রম সারাভাইয়ের ছবি • এ পি জে আব্দুল কালামের ছবি • আরশোলা • ব্যাক্টিরিয়া • বাদাম তক্তি • পকোড়া • বিয়ার • ব্যাট-বল • চালুনি ∗নাগরিকদের মন্তব্য। সূত্র: ইসরোর টুইটার অ্যাকাউন্ট
এই উগ্রতাতেই তালিকা শেষ হয়নি। কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন, একটি বয়ামে ভরে ‘অ্যানএরোবিক ব্যাক্টিরিয়া’ (অক্সিজেন ছাড়া যে-জীবাণু বেঁচে থাকতে সক্ষম) পাঠানো হোক। তারা চাঁদে বাঁচতে পারছে কি না, দেখা হোক। কেউ বলছেন, চাঁদে ছেড়ে দেওয়া হোক আরশোলা। বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর আদিমতম প্রাণীদের মধ্যে আরশোলাই বেঁচে রয়েছে। পরমাণু বোমা মারলেও নাকি আরশোলা নিশ্চিহ্ন না-ও হতে পারে। তাই চাঁদে আরশোলা পাঠিয়ে পরীক্ষা করার মন্তব্য ‘বুদ্ধিদীপ্ত’ বলেই মনে করছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আবেগতাড়িত হয়ে ইসরোর প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাই বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের ছবি পাঠাতে বলেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া থাকবে কিন্তু রসিকতা থাকবে না, তা হয় নাকি! তাই ইসরোর টুইটেও রসের ছড়াছড়ি। শৈশব থেকেই চাঁদের বুড়ির কথা শুনে অভ্যস্ত অনেকে। তাই সেই বুড়ির জন্য বাদাম তক্তি, পকোড়া পাঠানোর প্রস্তাব এসেছে। কেউ কেউ একটু বিয়ারও পাঠাতে বলেছেন! সংসারজ্বালায় বিরক্ত এক ব্যক্তি পাঠাতে চান নিজের স্ত্রীকে। কেউ বলেছেন, ‘আমি নিজে গেলে গান শোনার জন্য আইপড নিয়ে যাব। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম থাকায় চাঁদে নাচতে সুবিধা হবে।’ কেউ আবার শুধু একটি চালুনির ছবি দিয়ে বলেছেন, ‘করবা চৌথের ঢঙে চাঁদ থেকে চালুনি দিয়ে পৃথিবীকে দেখব!’
চন্দ্রযান নিয়ে এ বার সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। শুক্রবার চন্দ্রাভিযান নিয়ে ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের ‘প্রেস ইনফর্মেশন বুরো’। দু’দিনে অন্তত ৮০ হাজার বার তা দেখা হয়েছে! দর্শকেরা বলছেন, হলিউডি কায়দায় এই ধরনের প্রচার আগে হয়নি।
প্রচার-রসিকতার মধ্যেই ইসরো ঢুকে পড়েছে উৎক্ষেপণের শেষ আবর্তে। আগামী রবিবার গভীর রাতে (সরকারি হিসেবে ১৫ জুলাই) শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে রওনা দেবে ‘চন্দ্রযান২’। শনিবার এ ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ইসরো। তারা জানিয়েছে, দ্বিতীয় চন্দ্রযানের বাহন ‘জিএসএলভি মার্কথ্রি রকেট’ উৎক্ষেপণস্থলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। চন্দ্রযানের সঙ্গে মহাকাশ কেন্দ্রের থাকা সব লিঙ্ক এবং চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশের নানান পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে বারবার। ইসরোর এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘যে-কোনও অভিযানের আগেই এই ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা করা জরুরি। কোথাও খুঁত থাকলে চলবে না।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy