২০ বছরে কী কী বিপদ ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর? -ফাইল ছবি।
আর দু’দশকের মধ্যেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা অন্তত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য। তার ফলে, তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, ভয়াল বন্যা, খরা, দাবানলের ঘটনা ও তাদের তীব্রতা এতটাই বাড়বে যে তার জন্য বিপন্ন হয়ে পড়বে বিশ্বের প্রায় ৩৬০ কোটি মানুষের জীবন। সবচেয়ে বিপন্ন হবে মানুষ, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ-সহ জল ও স্থলের সার্বিক বাস্তুতন্ত্র। খাদ্য ও জলের নিরাপত্তার অভাবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টটি সোমবার প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেস। ৬৭টি দেশের ২৭০ জন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
রিপোর্টে স্পষ্টই বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা-বৃদ্ধি হবেই অন্তত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা-বৃদ্ধিকে আর এত অল্প সময়ে রোখা সম্ভব নয়। তার ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে ব্যাপক ভাবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব জুড়ে তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, অতিবৃষ্টি, ভয়াল বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, দাবানলের ঘটনা ও তাদের তীব্রতা বাড়বে। উত্তরোত্তর আরও বেশি এলাকা এই সব প্রাকৃতিক ঘটনার গ্রাসে পড়বে। এমনও নয় যে এখন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই অনিবার্যতাকে রোখা যাবে।
মানুষের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে, জীবাশ্ম জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য যে হারে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ফিবছর বাড়ছে তাতে এখন হঠাৎ নিয়ন্ত্রণও আর ২০ বছরে পৃথিবীর দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা-বৃদ্ধি রুখতে পারবে না।
ইতিমধ্যেই এই সব প্রাকৃতিক ঘটনার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, ছোট ছোট দ্বীপ এবং দ্বীপপুঞ্জগুলিতে। আন্টার্কটিকা ও আর্কটিকে। তা আগামী ২০ বছরে আরও প্রকট হয়ে উঠবে।
খুবই বেহাল অবস্থা হবে নগরসভ্যতার। নাগরিক জীবনের। খাদ্য ও জলের নিরাপত্তার অভাবে। শহরগুলির মানুষের স্বাস্থ্য, সম্পত্তি, উন্নয়নের পরিকাঠামো, সেই পরিকাঠামোকে চালু রাখার শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা ও যোগাযোগব্যবস্থার প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হবে জলবায়ু পরিবর্তনের দরুন এই সব প্রাকৃতিক ঘটনায়।
যে হারে উত্তরোত্তর শহরগুলির উপর জলসংখ্যার চাপ বাড়ছে আর জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে তাতে পরিকল্পনাহীন ভাবনাচিন্তার মাসুল গুনতেই হবে শহরগুলিকে। তার ফলে বেকারি ও দারিদ্র আরও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy