ব্রহ্মাণ্ডে যখন ফুটল ভোরের প্রথম আলো। প্রতীকী ছবি- নাসা-র সৌজন্যে।
এই ব্রহ্মাণ্ডে প্রথম কবে ভোরের আলো ফুটেছিল? মহাকাশ বিজ্ঞানের দীর্ঘ দিনের এই রহস্য কি এ বার উন্মোচিত হতে চলেছে?
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একটি যৌথ গবেষণা সেই সম্ভাবনাকেই জোরালো করে তুলল। জানাল, প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর চারপাশে ছিল জমজমাট অন্ধকার। না ছিল কোনও আলো, না কোনও শব্দ। সেই জমাট নিঃস্তব্ধতা ভেঙে বিগ ব্যাংয়ের পর ২৫ থেকে ৩৫ কোটি বছরের মধ্যে প্রথম ব্রহ্মাণ্ডে ফুটে উঠল আলো। সেটাই ব্রহ্মাণ্ডের ভোরের প্রথম আলো। তার পরেই ধীরে ধীরে জন্ম হল একের পর এক গ্যালাক্সি, নক্ষত্র আর নক্ষত্রমণ্ডলের।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘মান্থলি নোটিশেস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (এমএনরাস)’-তে। ২৪ জুন। গবেষকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই বছরের শেষাশেষি নাসা যে অত্যন্ত শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটিকে পাঠাচ্ছে মহাকাশে, সেটি সেই গ্যালাক্সি জন্মের গোড়ার দিকের ইতিহাস এ বার সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। সেই সব গ্যালাক্সি থেকে বেরিয়ে আলোর সূত্র ধরে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সৌরমণ্ডলের থেকে সবচেয়ে বেশি দূরত্বে থাকা ৬টি গ্যালাক্সি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। ব্রহ্মাণ্ডের বয়স যত, ওই গ্যালাক্সিগুলি থেকে আমাদের কাছে আলো পৌঁছতেও প্রায় সেই সময়ই লেগেছে বলে। পরে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ও স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাঠানো গ্যালাক্সিগুলির ছবি ও তথ্যাদি খতিয়ে দেখে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, সেগুলির জন্ম হয়েছিল বিগ ব্যাংয়ের পর ২৫ থেকে ৩৫ কোটি বছরের মধ্যে। আর তখনই ব্রহ্মাণ্ডে ফুটে উঠেছিল ভোরের প্রথম আলো। আলোর কণা ফোটন বেরিয়ে এসে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy