চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩। ছবি: ইসরো।
আর মাত্র দু’দিন। আশা করা হচ্ছে, ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্যোদয় হবে। যদি সূর্যোদয় হয়, তা হলে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে আবার ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আর সেই আশাতেই বুক বাঁধছে গোটা দেশ।
ইসরো আগেই জানিয়েছিল, ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্য উঠতে পারে। ১৪ দিন সূর্য থাকার পর অস্ত গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করেছিল ল্যান্ডার এবং রোভার। তার পর তাদের ঘুম পাড়িয়ে দেয় ইসরো। যে হেতু সূর্যের আলো থেকে শক্তি সঞ্চয় করে কাজ করবে ল্যান্ডার আর রোভার, তাই হিসেব কষেই সেই মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হয়েছিল চন্দ্রযানকে। ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকার পর চাঁদে আঁধার নেমে আসায় রোভার এবং প্রজ্ঞানকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তী সূর্যোদয়ের জন্য অপেক্ষা চলেছে। ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্যোদয় হতে পারে বলে জানিয়েছিল ইসরো। সব যদি ঠিক থাকে, তা হলে আবার রোভার এবং ল্যান্ডারকে কাজে লাগানো শুরু করবে তারা। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই ১৪ দিন আঁধারের সময় তাপমাত্রা কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায়। ফলে সেই তাপমাত্রা চন্দ্রযান-৩-এর প্রযুক্তি সহ্য করতে পারবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে আশাবাদী ইসরো। তাই চাঁদে সূর্য উঠলেই রোভার এবং ল্যান্ডারকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু হবে। এটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ইসরোর কাছে।
তবে ইসরো আগেই জানিয়েছিল, রোভার প্রজ্ঞানের ব্যাটারিতে সম্পূর্ণ চার্জ রয়েছে। সেটির সোলার প্যানেলকে এমন ভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে সূর্য উঠলেই ওই প্যানেলে আলো পড়ে। তাই আর মাত্র দু’দিনের অপেক্ষা। আর সেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে ইসরো।
গত ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান। ছ’চাকা বিশিষ্ট এই ছোট যন্ত্রটি ১০ দিন ধরে চাঁদে ঘুরে ঘুরে অনুসন্ধান চালিয়েছে। সেখানকার মাটির কম্পন পরিমাপ করেছে। পেয়েছে সালফার-সহ বিভিন্ন খনিজের সন্ধান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy