পায়েসে গুড় দিন নিশ্চিন্তে! ছবি: সংগৃহীত।
অন্য সময়ে গুড়ের বাতাসা দিয়েই পায়েস রাঁধেন। তবে শীতে নতুন গুড় দিয়ে রাঁধা পায়েসের স্বাদের সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা করা বৃথা। পৌষ সংক্রান্তির দিন আর কিছু হোক না হোক, গুড়ের পায়েস খাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো। তবে শত চেষ্টা করেও ঠাকুরমা-দিদিমার হাতে তৈরি পায়েসের মতো হয় না। আরও একটা সমস্যা হয়। পায়েসের দুধের মধ্যে গুড় মেশানো মাত্রই তা কেটে যায়। যত ভাল ভাল উপকরণই মেশান না কেন, তার স্বাদ ম্লান হয়ে যায়। সামনেই তো পৌষ সংক্রান্তি। এ বছরও যদি একই রকম বিপদে পড়েন, কী হবে? চিন্তা নেই। একটি টোটকা জানলে গুড়ের পায়েসও হবে অমৃতের মতো।
গুড়ের পায়েস তৈরি করতে কী কী লাগবে?
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল: ১ কাপ
দুধ: ২ লিটার
নলেন গুড়: ১ কাপ
কাজুবাদাম: ৩ টেবিল চামচ
কাঠবাদাম: ২ চেবিল চামচ
পেস্তাবাদাম: ১ টেবিল চামচ
কিশমিশ: ২ টেবিল চামচ
ঘি: ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা: ২টি
ছোট এলাচ: ২টি
প্রণালী:
১) প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে নিন। তার পর আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
২) এ বার কড়াইতে ঘি গরম করুন। এর মধ্যে দিয়ে দিন তেজপাতা এবং ছোট এলাচ।
৩) সামান্য নাড়াচাড়া করে এ বার ভিজিয়ে রাখা চালটা দিয়ে দিন।
৪) অন্য একটি পাত্রে দুধ গরম হতে দিন। ফোটানোর প্রয়োজন নেই। তবে ফ্রিজ থেকে বার করেই সরাসরি কড়াইয়ের মধ্যে দুধ ঢেলে দেওয়া যাবে না।
৫) এ বার চালের মধ্যে ওই ঈষদুষ্ণ দুধ অল্প অল্প করে মেশাতে থাকুন। চাল সেদ্ধ হচ্ছে কি না, তা বুঝে ক্ষেপে ক্ষেপে দুধ মেশাতে থাকুন।
৬) চাল মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে এলে এ বার গুড় দিতে হবে। তবে এই গুড় মেশানোর সময়েই রয়েছে আসল কায়দা।
৭) ছোট একটি পাত্রে খানিকটা ঈষদুষ্ণ দুধ নিন। তার মধ্যে মেশান গুড়। পাটালি গুড় বা ঝোলা গুড় দুই-ই ব্যবহার করতে পারেন।
৮) দুধের মধ্যে গুড় ভাল করে মিশে গেলে তার পর কড়াইতে ঢেলে দিন। ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। এই পদ্ধতিতে গুড় মেশালে কখনওই দুধ কেটে যাবে না।
৯) ঘন হয়ে এলে উপর থেকে কুচি করে রাখা বাদাম এবং কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। কিছু ক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন।
১০) ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy