কুকারের ‘কুকিং টেকনিক’। ছবি: সংগৃহীত।
রোজই কাজে যাওয়ার আগে বাড়ি থেকে দু’মুঠো সেদ্ধ ভাত খেয়ে বেরোন। সঙ্গে থাকে ডাল এবং আলুসেদ্ধ। আর কয়েক ফোঁটা ঘি। ডাল, আলু সেদ্ধ করার ঝামেলা কম। প্রেশার কুকারে কয়েকটা সিটি দিয়ে নিলেই হল। তবে প্রেশার কুকারে কিছু সেদ্ধ করতে গেলেই ইদানীং ঢাকনার আশপাশ থেকে গলগল করে সেদ্ধ করার জল বেরিয়ে আসে। প্রেশার কুকারের গায়ে মাখামাখি হয়ে সেই তরল পোঁছে যায় গ্যাসের বার্নার পর্যন্ত। প্রেশার কুকার পরিষ্কার করা গেলেও বার্নারের মুখে থাকা ছোট ছোট ছিদ্র পরিষ্কার করা বেশ কঠিন। তা ছাড়া, প্রেশার কুকারের মধ্যে থেকে সব জল যদি বেরিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ডাল বা আলু কিছুই ভাল করে সেদ্ধ হবে না। তা হলে উপায়? রান্না করার আগে কয়েকটি টোটকা মেনে দেখুন এই সমস্যার সমাধান করা যায় কি না।
১) প্রেশার কুকারের ঢাকনায় যে রাবার ব্যান্ড বা ‘গ্যাসকেট’ থাকে, তা সঠিক ভাবে লাগানো হয়েছে কি না, দেখে নিন। প্রেশার কুকার পরিষ্কার করার সময়ে এই গ্যাসকেট খোলা হয়। তার পর ঠিক জায়গা মতো আবার তা না বসালে ভিতর থেকে বাষ্প বেরিয়ে আসতে পারে।
২) প্রেশার কুকারের ভিতর বাষ্পের চাপ বেশি হয়ে গেলে, তা বার করে দেওয়ার জন্য মাথায় একটি ভাল্ভ লাগানো থাকে। চলতি কথা যাকে অনেকেই ‘সিটি’ বলে জানেন। সেই যন্ত্রটি সঠিক ভাবে না বসালেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
৩) এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মা-ঠাকুরমার বহু পুরনো একটি নিদান রয়েছে। প্রেশার কুকারে যা-ই সেদ্ধ করতে দিন না কেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ জল দিয়ে উপর থেকে সামান্য একটু সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিন।
৪) রান্না চাপানোর আগে ঠান্ডা জলে প্রেশার কুকারটি ভাল করে ধুয়ে নিতে পারেন। আবার রান্না করতে গিয়ে যদি এমন সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে তৎক্ষণাৎ জলে ধুয়ে আবার লাগিয়ে দেখুন, অসুবিধে হবে না।
৫) মাইক্রোঅয়েভ হোক বা প্রেশার কুকার— রান্না করতে গেলে জলের মাপ ভীষণ গরুত্বপূর্ণ। প্রেশার কুকারে অতিরিক্ত জল দিয়ে ফেললে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy