নিখুঁত পরোটা বানানোর সহজ টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
শহর থেকে দূরে গাড়ি করে কোথাও ঘুরতে গেলে জাতীয় সড়কের ধারে ধাবাগুলিতে এক বার ঢুঁ না মারলেই নয়। আর ধাবায় গিয়ে আলুর পরোটা তো খেতেই হবে। প্রাতরাশে ঠান্ডা দইয়ের সঙ্গে গরমাগরম আলুর পরোটা পেলে আর কী চাই! আলুর পরোটা রেসিপিটি সহজ হলেও এই বাড়িতে বানানোর সময়ে কিন্তু বেশ ঝক্কি হয়! কিছুতেই ধাবার মতো স্বাদ আসে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় পরোটা বেলার সময়ে। বেলতে গেলেই পরোটার ভিতর থেকে পুর বেরিয়ে চলে আসে। কী করে বানালে নিখুঁত হবে পরোটা? রইল কিছু সহজ টোটকা।
১) আলু সেদ্ধ করার পর টিস্যুর উপরে রেখে আলুর গায়ে লেগে থাকা জল শুকিয়ে নিন। পুর শুকনো হলে পরোটা বেলতে সুবিধা হবে। আলু মাখার সময়ে দেখে নিন আলু মাখার মধ্যে কোথাও যেন দলা পেকে না থাকে। আলুর পুরটা বানিয়ে ঘণ্টা খানেকের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন, পুরটা ভাল জমাট হবে। তার পর সেই পুর দিয়ে পরোটা বানিয়ে ফেলুন। পরোটা ঘিয়ে ভাজলে স্বাদ আরও বাড়বে।
২) আলুর মশলা আগে থেকে বানিয়ে রাখলেও নুন কিন্তু পরে দেবেন। নইলে মশলা থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে। কেবল আলুতেই নয়, ময়দা মাখার সময়ে তাতেও নুন দিতে হবে। এতে স্বাদ বেশি ভাল হবে।
৩) ধনেপাতা, পেঁয়াজ এবং কাঁচালঙ্কা যতটা সম্ভব সরু সরু করে কাটবেন। না হলে পরোটা বেলার সময়ে পুর বেরিয়ে আসবে আর বেলতেও সমস্যা হবে।
৪) যদি বেলার সময়ে পরোটা চাকির সঙ্গে আটকে যায়, তা হলে ঘাবড়ে যাবেন না। সামান্য ময়দা দিলেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। পরোটা বেলার সময়ে হালকা হাতে চাপ দেবেন, তা হলেই ভিতরের পুর ভাল করে ছড়িয়ে যায়। বেশি চাপ দিলেই পুর বেরিয়ে আসবে।
৫) এর পরেও সমস্যা হলে আলুর পুর আর ময়দা একসঙ্গেই মেখে নিতে পারেন। তাতেও স্বাদ ভালই হবে। নইলে একটা পাতলা পরোটা বেলে তার উপর আলুর মিশ্রণে ছড়িয়ে দিন। এ বার আর একটি পরোটা বেলে আলুর পুরের উপরে দিয়ে চারপাশটা ভাল করে চেপে নিন। তেল কিংবা ঘিয়ে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দোকানের মতো আলুর পরোটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy