বাসি ভাত দিয়ে তৈরি খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
কত চালে কতটা ভাত হতে পারে, তার আন্দাজ করতে পারেন না। রোজই ভাত বেঁচে যায়। ফ্রিজে রাখলে ভাতের মধ্যে থাকা জল শুকিয়ে যায়। শুকনো ভাত খেতে মোটেই ভাল লাগে না। আবার, টাটকা ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে নিলে তার স্বাদ কেমন যেন বিকৃত হয়ে যায়। তবে বাসি ভাত দিয়েও নতুন নতুন পদ তৈরি করে ফেলা যায়। তেমন কয়েকটি পদের প্রণালী দেওয়া রইল এখানে।
১) ভাতের উপমা
ভাতের উপমা বা ভাত ভাজা তৈরি করা খুব সহজ। তার জন্য প্রথমে কড়াইয়ে সর্ষের তেল, গোটা সর্ষে এবং কারিপাতা, ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, গাজর, বিন্স, কড়াইশুঁটি, কাঁচা লঙ্কা ভেজে নিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিন। এ বার তার মধ্যে দিন বাসি ভাত। সামান্য নুন এবং চিনি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
২) কার্ড রাইস
বাসি ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ইয়োগার্ট বা টক দই। তার মধ্যে দিন কুচোনো শসা এবং গাজর। উপর থেকে নুন, জিরে ছড়িয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা এবং কারিপাতার ফোড়ন দিন। গরম হয়ে গেলে কার্ড রাইসের উপর সেই ফোড়ন ছড়িয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩) ভাতের পকোড়া
একটি পাত্রে বাসি ভাতের মধ্যে বেসন, কুচি করা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, সামান্য কালোজিরে, স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে ভাল করে চটকে মেখে নিন। কড়াইতে তেল গরম হলে মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট পকোড়ার মতো করে ভেজে নিন। বিকেলে চায়ের সঙ্গে খেতে দারুণ লাগবে।
৪) লেমন রাইস
কড়াইতে সামান্য তেল, গোটা সর্ষে এবং কারিপাতা ফোড়ন দিন। তার মধ্যে দিন চিনেবাদাম। হালকা ভাজা হলে তার মধ্যে দিয়ে দিন আগের দিনের রেখে দেওয়া ভাত। নাড়াচাড়া করে নুন, সামান্য চিনি, হলুদ এবং লেবুর রস দিয়ে দিন। ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
৫) পায়েস
সাধারণত গোবিন্দভোগ চাল দিয়েই পায়েস তৈরি করা হয়। তবে, বাসি ভাত ফেলে না দিয়ে তা পায়েস তৈরির কাজে লাগাতে পারেন। দুধের মধ্যে ছোট এলাচ, তেজপাতা এবং চিনি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ঘন হয়ে এলে তার মধ্যে বাসি ভাত দিয়ে ফুটিয়ে নিন। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। কেশরও ছড়িয়ে দিতে পারেন, তাতে দেখতেও ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy