কারিপাতা পচবে না কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী খাবারে কারিপাতার রাজত্ব বেশি। তবে সমাজমাধ্যমের দৌলতে সেই পাতাটি এখন আর শুধু ‘ফোড়ন’-এ সীমাবদ্ধ নেই। ডিটক্স পানীয় থেকে চুলের প্যাক— সবেতেই এখন কারিপাতার ব্যবহার বেড়েছে। তাই সাধারণ গেরস্ত বাড়ির ফ্রিজ খুললে এখন কারিপাতা খুঁজে না পাওয়াটাই আশ্চর্যের।
হবে না-ই বা কেন! কারিপাতার তো গুণের শেষ নেই। কারি পাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই। তা ছাড়া নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বশে রাখতেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সমস্যা একটা আছে। যত ভাল করেই রাখা হোক না কেন, কারি পাতা কিছুতেই ভাল থাকছে না। দু’দিন অন্তর মুঠো মুঠো পাতা ফেলে দিতে হচ্ছে। তবে, কারিপাতা সংরক্ষণের কয়েকটি পদ্ধতি যদি জানা থাকে, তা হলে আর এই সমস্যায় পড়তে হবে না।
১) ফ্রিজে রাখার পদ্ধতি:
কারিপাতা ধুয়ে ফ্রিজে রাখতেই পারেন। তবে, দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে তা ভাল করে ধুয়ে, কাগজের টিস্যু বা ন্যাপকিনে মুড়িয়ে আগে শুকিয়ে নিতে হবে। তার পর বায়ুরোধী ‘জ়িপলক পাউচ’-এর মধ্যে ভরে রাখা যেতে পারে । এই ভাবে রাখলে দীর্ঘ দিন কারিপাতা ভাল থাকবে।
২) ভ্যাকিউম সিল পদ্ধতি:
‘জ়িপ পাউচ’ না থাকলে সাধারণ পলিথিন প্যাকেট বা পাউচের মধ্যেও একই ভাবে কারিপাতা রাখা যায়। তবে, সেই পলিথিনের ভিতর যেন কোনও বায়ু না থাকে। প্যাকেটের ভিতর থেকে বায়ু টেনে বার করার জন্য ‘ভ্যাকিউম সিলার’ যন্ত্রটির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
৩) রোদে শুকোনোর পদ্ধতি:
কারিপাতা ভাল করে ধুয়ে, বেশ কয়েক দিন ধরে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। পাতার সতেজ সবুজ রং শুকিয়ে বেশ গাঢ় হবে এবং রসও শুকিয়ে আসবে। তার পর বায়ুরোধী পাত্রের মধ্যে ভরে হেঁশেলের তাকে রেখে দেওয়া যেতে পারে। যেখানে আলো-বাতাস কিংবা আর্দ্রতা কম।
৪) নুন দিয়ে সংরক্ষণ:
কাচের বায়ুরোধী পাত্রে বিশেষ এক ধরনের খনিজ ‘কোশার’ নুন ছড়িয়ে দিন। তার উপর ধুয়ে, জল শুকনো করে রাখা কারিপাতা ছড়িয়ে দিন। সাজানো পাতার স্তরের উপর আবার নুনের পরত ছড়িয়ে দিন। তার উপর আবার পাতা সাজিয়ে দিন। যত ক্ষণ না কাচের শিশি ভর্তি হচ্ছে তত ক্ষণ স্তরে স্তরে পাতা এবং নুন সাজানো পদ্ধতি চলতে থাকবে। এই ভাবে অনেক দিন পর্যন্ত কারিপাতা সংরক্ষণ করা যায়।
৫) ভেষজ সংরক্ষণ পদ্ধতি:
অনলাইনে ভেষজ সংরক্ষণের বিশেষ পাত্র কিনতে পারেন। এই ভাবেও দীর্ঘ দিন কারিপাতা ভাল রাখা যায়। এই ধরনের কাচের পাত্র দেখতে অনেকটা দু’বাটি টিফিন বাক্সের মতো। একেবারে নীচের বাটিতে জল ভরে রাখতে হয়। তার উপরের স্তরে থাকে ভেষজ রাখার ব্যবস্থা। ভেষজের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে নীচের এই জলের পাত্রটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy