মাছ-মাংস-ডিম ছাড়া যাঁদের মুখে খাবার উঠতে চায় না এই গরমে তাঁদের ট্যালটেলে মাছের ঝোল বা আলু দিয়ে চিকেনের পাতলা ঝেল ছাড়া গতি নেই। বাঙালিরা নয় তেমন খাবার খাবেন। কিন্তু ভারতের যে সব রাজ্যে গ্রীষ্ম বাংলার থেকেও খর, সেখানকার বাসিন্দারা কী ধরনের খাওয়াদাওয়া করেন? গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে তাঁদের রান্নাবান্নাতেও নিশ্চয়ই থাকে বিশেষ উপাদান।
রাজস্থানের কথাই ধরা যাক। খটখটে গরম সেখানে। আর্দ্রতাবিহীন এই রাজ্যে গ্রীষ্মকালে মানুষ কেমন খাবার খান, যাতে মন ভরে, অথচ পেটও থাকে ঠান্ডা? রাজস্থানের হান্ডি চিকেন তেমনই এক রান্না। এই রান্নায় অতিরিক্ত গুঁড়ো বা বাটা মশলার ভার নেই। উল্টে পেঁয়াজকে সেদ্ধ করে নেওয়া হয়, যাতে স্বাদে চড়া ভাব না থাকে। অনেক আগে মাটির হাঁড়িতে রান্না করা হত, তাই ওই নাম। চাইলে অবশ্য কড়াইয়েও রাঁধা যায়।
উপকরণ:
৬০০ গ্রাম মুরগির মাংস
২ টি মাঝারি পেঁয়াজ সরু করে কেটে নেওয়া
৩-৪ কোয়া গোটা রসুন
১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
দেড় গাঁট মাপের আদা জুলিয়েন করে কাটা
৫-৬ টি কাঁচা লঙ্কাকুচি
১/৩ কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
আধ কাপ দুধ
৪ টেবিল চামচ দই
দেড় চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
১ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চা-চামচ সাদা মরিচগুঁড়ো
৪ টেবিল চামচ সাদা তেল
১ টেবিল চামচ মাখন
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
প্রণালী:
কড়াইয়ে সামান্য জল গরম করে তার মধ্যে কুচোনো পেঁয়াজ এবং গোটা রসুনের কোয়া দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন। এর পরে মিক্সিতে দুধ দিয়ে মিহি করে বেটে নিন।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে রসুন বাটা দিয়ে ভাজা ভাজা হয়ে এলে দিয়ে দিন মাংসের টুকরোগুলো। মাংসের চারপাশ ভাজা হয়ে এলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন বেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুনের মিশ্রণ। ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন।
মাংস নরম হয়ে এলে একে একে দিন সব গুঁড়ো মশলা এবং নুন। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে রান্না হতে দিন। তেল ছেড়ে এলে দিন মাখন এবং সমান্য চিনি দিয়ে ফেটিয়ে নেওয়া দই।
দই দেওয়ার সময় আঁচ কমিয়ে নেবেন। ভাল ভাবে নাড়াচাড়া করে নিয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন ক্যাপসিকাম, কাঁচালঙ্কা এবং আদাকুচি। মিনিট তিনেক ঢাকা দিয়ে রান্না করে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করুন।
কিছু ক্ষণ রেখে তার পরে পরিবেশন করুন।