বীণাপাণি: কাঁথির সরস্বতীতলার ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী মন্দির। ডান দিকে, ভিতরে প্রতিষ্ঠিত শ্বেতপাথরের সরস্বতী বিগ্রহ।
এ বছর সরস্বতী পুজো মাঘ মাসে নয়, পড়েছে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিনটিতে। শীতের বিদায় আর বসন্তের আগমনীতে এই উৎসবে ছোট থেকে বড় সব বাঙালি মেয়ের পরনে থাকে শাড়ি আর ছেলেদের পাজামা-পাঞ্জাবি। দেবীপূজার আবশ্যিক উপচার আমের মুকুলের মতোই আধফোটা কিশোর-কিশোরীরা প্রেমেও পড়ে।
আড়ম্বরের নয়, শুধু আধ্যাত্মিক গভীরতার নয়, শুক্লা পঞ্চমীর এই দিনটি বড় বেশি মায়ায় ঘেরা। আপন জনের মতো আপন তিথি।
কিন্তু তাই বলে বেদ-পুরাণে দেবী সরস্বতীকে নিয়ে কম কথা নেই! ঋগ্বেদে তিনি যজ্ঞরূপা, পবিত্রা আর যজ্ঞফলরূপ ধনদাত্রী। আবার এই ঋগ্বেদেই তাঁকে বলা হয়েছে দীপ্তিরূপা সরস্বতী। ‘সরস্’ শব্দের প্রকৃত অর্থ হল জ্যোতি। তার সঙ্গে ‘বতুপ্’ প্রত্যয় ও স্ত্রীলিঙ্গে ‘ঈপ্’ প্রত্যয় যুক্ত করে হয়েছে ‘সরস্বতী’। বৈদিক সাহিত্যে তিনি নদী সরস্বতীও বটে। রবীন্দ্রনাথের ‘ব্রাহ্মণ’ কবিতায় ‘অন্ধকার বনচ্ছায়ে সরস্বতী তীরে’ মহর্ষি গৌতমের সান্ধ্য আশ্রমে এসেছে সত্যকাম। কারও কারও মতে সরস্বতী আবার আকাশগঙ্গা মন্দাকিনী। কিন্তু নদী সরস্বতীর কথা বার বার এসেছে বৈদিক যুগের পরেও মহাভারতে, বিভিন্ন পুরাণে আর কাব্যে। সরস্বতী নদীতীরে যে যজ্ঞ করা হত, তার নামও ছিল সারস্বত যজ্ঞ। প্রাচীন সরস্বতী নদী জলময়ী প্রবহমানা, সেই সরস্বতী নদীর জলে পিতৃতর্পণ করা হত। মহাভারতের বনপর্বে আমরা উল্লেখ পাচ্ছি ‘সরস্বতীং সমাসাদ্য তর্পয়েৎ পিতৃদেবতাঃ।’
সরস্বতীকে বলা হয়েছে নদীগণ ও দেবগণের স্রষ্টা। নদী শুধু দ্রবময়ী নয়, কলনাদিনী শব্দময়ী। তাই সরস্বতী বাগ্দেবীও বটে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের ব্রহ্মখণ্ড অনুযায়ী ইনি ব্রহ্মার তনয়া বাক্। শুধু বেদ নয়, তিনি তন্ত্রশাস্ত্রেও মন্ত্রাত্মিকা। বামন পুরাণে দেবী সরস্বতী শুধু নদী নন, তিনি মহাশক্তি। এই পুরাণে সরস্বতী স্তবে বলা হয়েছে, সরস্বতী একাধারে পুষ্টি, ধৃতি, কীর্তি, সিদ্ধি, কান্তি, ক্ষমা, স্বধা, স্বাহা ও বাণী। সায়নের ঋগ্বেদ ব্যাখ্যায় সরস্বতীর দুই বিগ্রহের কথা বলা হয়েছে— তিনি মূর্তিধারিণী দেবী, আবার তিনি স্রোতস্বিনী। কালক্রমে নদী সরস্বতী স্রোতবিহীনা, বিলুপ্তা। কুরুক্ষেত্রে তাঁর অন্তর্ধান, প্রয়াগে গঙ্গা যমুনার সঙ্গে তাঁর মিলন। আবার অন্য মত, রাজস্থানের মরুভূমিতে বিলুপ্ত এই বৈদিক নদীধারা। মহাভারতে বলা হয়েছে, শূদ্র আর আভীরদের প্রতি বিদ্বেষের কারণেই তিনি নিজেকে অবলুপ্ত করেন। আবার অন্যত্র পাই, নিষাদদের দোষেই তাঁদের প্রতি বিদ্বেষে তাঁর বিলুপ্তি।
শেষ পর্যন্ত সরস্বতীর অন্য পরিচয় ক্ষীণ হয়ে তিনি সর্ববিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী। শ্বেতবসনা, শ্বেতপদ্মাসনা, শ্বেতবাহনা দেবী। বেদ-পুরাণ-মহাকাব্য পেরিয়ে বাংলা সাহিত্যেও এই বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী শিল্পী-সাধকের পরম আশ্রয়। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের কাহিনি অনুযায়ী বিষ্ণুর তিন পত্নী— লক্ষ্মী, সরস্বতী আর গঙ্গার কলহের কারণে গঙ্গার অভিশাপেই তাঁর নদীজন্ম। তাই হয়তো অবলুপ্ত জলময়ী সরস্বতীর প্রাণদায়িনী স্নিগ্ধ ধারা আজও কবি-শিল্পীর সৃষ্টিতে ফিরে আসে। দ্বিশতবর্ষ পেরিয়েও ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর কবি আমাদের সাহিত্যসংসারে বনস্পতি। তাঁর কাছে দেবী শুধু সৃষ্টি প্রেরণাদাত্রী ‘অমৃতভাষিণী’, ‘শ্বেতভুজা ভারতী’ নন, সংসারের তীব্র প্রতিকূলতায় তাপদগ্ধ শিল্পীর তৃষ্ণাহরণী, স্নিগ্ধ স্রোতধারাময়ী জননী— “তৃষাতুর জন যথা হেরি জলবতী/ নদীরে, তাহার পানে ধায় ব্যগ্র মনে/ পিপাসা-নাশের আশে, এ দাস তেমতি, / জ্বলে যবে প্রাণ তার দুঃখের জ্বলনে, ধরে রাঙা পা দুখানি, দেবি সরস্বতী।— / মার কোল-সম মাগো, এ তিনভুবনে/ আছে কি আশ্রম আর?”
মধুসূদনের আগে চণ্ডীমঙ্গলের মুকুন্দ, অন্নদামঙ্গলের ভারতচন্দ্র সর্বশুক্লা সরস্বতীর বন্দনা করেছেন। পরবর্তী কাব্য-সাহিত্যেও শুভ্রা বাণীমূর্তির বন্দনা বিহারীলালের, সুরেন্দ্রনাথের। এবং অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের ‘পুরস্কার’ কবিতায় এসেছে ‘শুক্ল বসনা, শুভ্র হাসিনী’ দেবীর বন্দনা। ‘বাল্মীকি প্রতিভা’তেও দেবী সরস্বতীর আর এক মূর্তি, যাঁর জন্য কবি অনায়াসেই লক্ষ্মী দেবীকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন।
দেবীর এই শুভ্র মূর্তি-কল্পনার আরও কিছু বৈচিত্র নানা পুরাণে তন্ত্রে পাওয়া যায়। ষোড়শ শতকের রঘুনন্দন সারদাতিলক তন্ত্র থেকেই সরস্বতীর শুভ্র বাগ্দেবী রূপের পরিচয় দিয়েছেন। বৃহদ্ধর্মপুরাণ, কালিকাপুরাণে, নানা তন্ত্রশাস্ত্রে ও বৌদ্ধ মহাযান সাধনায় নানা ভাবে শুভ্রকান্তি ও শুভ্রবেশধারিণী বীণা-পুস্তকহস্তা দেবীর বর্ণনা আছে।
চতুর্ভুজা নয়, দ্বিভুজা দেবীর অর্চনাই এখন প্রচলিত। মধুসূদন, ভারতচন্দ্র, ও মধুসূদন-পরবর্তী বাঙালি কবিদের রচনায় শিল্পী-স্রষ্টার প্রেরণাদাত্রী বিদ্যাদেবীর বন্দনা থাকলেও, পুরনো বাংলা সাহিত্যে মনসা, চণ্ডী ও ধর্মদেবতার যে প্রবল প্রতিপত্তি, সরস্বতীর তা নেই। অপ্রধান মঙ্গলকাব্য ধারায় লক্ষ্মী, শীতলা, ষষ্ঠী প্রমুখ দেবীর সঙ্গে তাঁর স্থান। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যের ধাঁচে দেবী সরস্বতীকে নিয়ে লেখা কাব্যসৌন্দর্যবিহীন অল্প কয়েকটি কাব্য পাওয়া যায়। একটি রূপকথাধর্মী, অন্যটি কালিদাসের বরলাভের কাহিনি। কবিদের মধ্যে আছেন বীরেশ্বর, সুসঙ্গের রাজা রামসিংহ, মুনিরাম মিশ্র আর উল্লেখযোগ্য কবি হলেন দয়ারাম। দয়ারামের কাব্যের নাম ‘সারদামঙ্গল’। তিনি মেদিনীপুর জেলার কিশোরচক পরগনার কাশীজোড়া গ্রামের মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরে বিশ শতকের প্রথম দিকে নীহার প্রেস থেকে দয়ারামের কাব্য মুদ্রিত হয়। এই কাব্যের আর এক নাম ‘ধুলাকুটার পালা’। কাব্যে আছে, বিতাড়িত রাজপুত্রকে পাঁচ রাজকন্যার বিদ্যাশিক্ষার জন্য মাটির ঢেলা ভেঙে মসৃণ ধুলো তৈরির কাজ দেওয়া হয়। সেই ধুলোর উপর রাজকন্যারা অক্ষর লিখতে শিখবে। সম্ভবত এই ধরনের জীবিকা এক সময়ে প্রচলিত ছিল। মসৃণ ধুলোর উপর লেখার সুবিধা হল, ভুল করলেও মুছে আবার নতুন করে লেখা যাবে।
দেবী শীতলা অপ্রধান মঙ্গলকাব্যের দেবী হলেও বঙ্গদেশে শীতলার মন্দির নানা জায়গাতেই দেখা যায়। কিন্তু সরস্বতী পুজোর দিনে প্রায় প্রতিটি গৃহেই দেবী সরস্বতী পুজো হলেও, বাংলায় দেবী সরস্বতীর মন্দির খুবই কম। জাপানে যে দেবী সরস্বতীর মন্দির আছে তার নাম ‘বেঞ্জাইতেন’। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি সরস্বতী মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়, তার মধ্যে একটি তেলঙ্গানায়। জ্ঞানদেবী সরস্বতী সেখানে ময়ূরবাহনা, চতুর্ভুজা এবং তাঁর পুজোর দিনে শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়। পুষ্করতীর্থের সরস্বতী মন্দিরও উল্লেখযোগ্য।
গত বছরেই হাওড়ার পঞ্চাননতলা উমেশচন্দ্র দাস লেনের প্রাচীন সরস্বতী মন্দিরটি শতবর্ষ পূর্ণ করল। ১৯২৩ সালের জুন মাসে, রথযাত্রার দিনে এই মন্দিরে চার ফুট দীর্ঘ সরস্বতী বিগ্রহটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি পারিবারিক মন্দির। পরিবারের দাবি, বাংলায় এমন ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যসেবিতা সরস্বতী আর একটিও নেই।
কিন্তু যে কাঁথি শহরের নীহার প্রেস থেকে ‘সারদামঙ্গল’ মুদ্রিত হয়েছিল, সেই শহরেই একটি প্রাচীন সরস্বতী মন্দির আছে। এই মন্দিরের সরস্বতী মূর্তিও জয়পুর থেকে আনা শ্বেতপাথরের মূর্তি। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভার আয়ত্তাধীন হাতাবাড়ি মৌজায় সরস্বতীতলার অবস্থান দেবী সরস্বতী মন্দিরের দৌলতেই। দারুয়া মৌজার কৃষ্ণপ্রসাদ মাইতি নামে এক ধনী ভূস্বামীর হাতাবাড়িতে জমি ছিল। সেখানেই তিনি মাটির একটি মন্দির করে সরস্বতী দেবীর মাটির মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরেও নিত্যপুজো হত। এ ছাড়াও মহা আড়ম্বরে যে বাৎসরিক পুজো হত, সেই পুজোর সময় বসত যাত্রা, কবিগান ও তরজার আসর। হয়তো বা, দয়ারামের ‘সারদামঙ্গল’ সেখানে গান করা হত।
কৃষ্ণপ্রসাদের বংশধররা ১৯৪০ সালে পুজোর দায়িত্বভার তুলে দেন কাঁথির সিভিল বার অ্যাসোসিয়েশনের হাতে। ইংরেজি ১৯৪২ ও বাংলা ১৩৪৯ সালের বিধ্বংসী সাইক্লোনে পুরনো মাটির মন্দির ভেঙে যায়। অনেক অনুসন্ধান করেও কৃষ্ণপ্রসাদের মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনটি জানা সম্ভব হয়নি। ১৯৪২-এর বন্যায় হস্তান্তরের কাগজপত্রও নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পর বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা পাকা মন্দির তৈরি করিয়ে দেন।
১৯৮৬ সালে বার অ্যাসোসিয়েশনের তদানীন্তন সভাপতি প্রয়াত মণীন্দ্রনাথ বিশুই রাজস্থানের পুষ্কর থেকে শ্বেতপাথর আনিয়ে কলকাতার কোনও এক বিশেষ কারিগরকে দিয়ে বর্তমানের সরস্বতী মূর্তিটি নির্মাণ করান। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করা হয় শ্বেতপাথরের বেদির উপর। বেদির ঠিক সামনের অংশে রয়েছে সরস্বতী ও সিদ্ধিদাতা গণেশের পিতলের তৈরি দুটি ঘট। বাঁ দিকের ঘটে সরস্বতীর মুখ এবং ডান দিকের ঘটে সিদ্ধিদাতা গণেশের মুখ স্থাপিত। কৃষ্ণপ্রসাদ মাইতির সময় আদি প্রথা মেনে সরস্বতী পুজোর দিন ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় মানুষ সমবেত হন কাঁথির প্রতিষ্ঠিত পুকুর ‘সাধু জানা পুকুর’-এ। পঁচিশ জন মহিলা সেখান থেকে পঁচিশ কলসি জল এনে মন্দির ধুয়ে দেন। এর পর মন্দিরের পতাকা আর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শেষে শিশুদের হাতেখড়ি উৎসব জমে ওঠে। মন্দিরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিশুকে খাতা, বই, পেনসিল, স্কুলব্যাগ দেওয়া হয়। পুজোর রাতে বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা নাটকও অভিনয় করতেন।
সরস্বতী পুজোর আগের দিন নির্দিষ্ট রীতি মেনে মন্দিরের দুটি ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়। তার পর সরস্বতী পুজোর দিনই তিথিনক্ষত্র মেনে নতুন ঘটে জল ভরা হয়। সে দিন কাঁথির সিভিল বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য-সদস্যারা সেই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। সে দিন স্থাপিত ঘটই আবার সারা বছর দেবী সরস্বতীর সঙ্গে পূজিত হতে থাকে। সারা দিনে দু’বার সরস্বতী পুজোর নিয়ম মেনে নিত্যপুজো হয়। বর্তমানের পুরোহিত কাঁথির দারুয়া নিবাসী কানাইলাল নন্দ দীর্ঘ বাইশ বছর এই মন্দিরের সেবায় নিয়োজিত। তাঁর মতে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। পারিশ্রমিক না পেলেও ক্ষতি নেই, আমৃত্যু তিনি মন্দিরের সেবায় নিযুক্ত থাকতে চান।
একটি মফস্সল শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অঞ্চলের নামকরণ সরস্বতী মন্দির থেকেই, এমন দৃষ্টান্ত বোধহয় আর নেই। কৃষ্ণপ্রসাদ মাইতির মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় জানা গেলে হয়তো এই মন্দিরের বয়সও একশো বছর কিংবা তার কাছাকাছি হত। কারণ সিভিল বার অ্যাসোসিয়েশন এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ, নিত্যপুজো আর উৎসবের দায়িত্ব নিয়েছেন ৮৪ বছর। কোনও পরিবারের নয়, কাঁথির আইনজীবীদের ৮৪ বছর ধরে একটি প্রাচীন মন্দিরের সফল পরিচালনার এই দৃষ্টান্ত বোধহয় অন্যত্র পাওয়া যাবে না। এক সময় এই মহকুমা শহরে কলকাতা থেকে শিক্ষিত বাঙালিরা জীবিকা অর্জনের জন্য গিয়েছিলেন। ব্রাহ্মধর্ম আন্দোলনেরও উল্লেখযোগ্য জায়গা ছিল কাঁথি শহর। পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে মেদিনীপুর জেলার, বিশেষত কাঁথি ও সন্নিহিত অঞ্চলের বহু মানুষের অংশগ্রহণের কথা আমাদের মনে পড়বে। কাঁথির নিকটবর্তী পিছাবনীতে হয়েছিল লবণ আইন অমান্য আন্দোলন। সেই সময়ের বিশেষ জাতীয়তাবাদী উদ্দীপনা থেকে সরস্বতী পূজায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রীতি প্রচলিত হয়েছিল বলেই মনে করা হয়।
এখন কাঁথির সরস্বতীতলার এই জাগ্রত দেবীর ধারণা, পাশাপাশি পূজাপদ্ধতিতে মহিলা, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ আর অজস্র শিশুর হাতেখড়ির অনুষ্ঠান সরস্বতীতলার উৎসবটিকে নিজস্ব তাৎপর্যে অনন্য ও আপন করে তুলেছে স্থানীয় মানুষজনের কাছে। বাঙালির সরস্বতী-আরাধনার এই দীর্ঘ প্রবহমানতা ও তার বৈশিষ্ট্য আঞ্চলিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও বটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy